ঢাকা ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সাংবাদিকতাকে ঝুঁকিতে ফেলছে?

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সাংবাদিকতাকে ঝুঁকিতে ফেলছে?

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) কারণে চাকরি যাবে বহু মানুষের, এমন শঙ্কা শুরু থেকেই। বিষয়টিকে একেবারে উড়িয়েও দেওয়া যায় না। পৃথিবীর ইতিহাসে নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের কল্যাণে কর্মসংস্থান হারিয়েছে বহু মানুষ। সাংবাদিকতায়ও বৃদ্ধি পাচ্ছে এর প্রভাব। এ বিষয়ে সতর্ক করতে জার্মান মিডিয়া গ্রুপ এক্সেল স্প্রিঞ্জারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ম্যাথিয়াস ডোফনার বলেন, চ্যাট জিপিটির মতো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সাংবাদিকদের পেশাকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। কেননা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন এসব সফটওয়্যারের মাধ্যমে সাংবাদিকের কাজ করানো সম্ভব হতে পারে। অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা ও মৌলিক লেখায় সাংবাদিকদের আরও মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে জার্মানির সংবাদ সংস্থা পলিটিকো। সম্প্রতি জার্মানিতে ডাই ওয়েল্ট ও বিল্ডের মতো বিভিন্ন পত্রিকা থেকে কর্মী ছাঁটায়ের পরিপ্রেক্ষিতেই, এ বিষয়ে কথা বলেন পলিটিকোর মালিক। বিল্ড ও ডাই ওয়েল্টকে পুরোপুরি ডিজিটাল মিডিয়ায় রূপান্তরিত করার পাশাপাশি গণমাধ্যম থেকে আয়ের পরিমাণ বাড়াতে এআই এর ব্যবহার শুরু করেছে তারা। এক্সেল স্প্রিঞ্জার জানায়, এআই ও স্বয়ংক্রিয় অন্যান্য প্রযুক্তির মাধ্যমে অনেক কাজই এখন লোকবল ছাড়াই করে ফেলা সম্ভব হচ্ছে। ফলে অতিরিক্ত কর্মীর প্রয়োজন নেই তাদের। এক্সেল স্প্রিঞ্জার কতজন কর্মী ছাঁটাই করবে, তা নিয়ে কিছু জানায়নি। তবে প্রতিবেদক, লেখক ও বিশেষজ্ঞ সম্পাদকদের ছাঁটাই না করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এক্সেল স্প্রিঞ্জার ছাড়াও বিশ্বব্যাপী আরও বেশ কিছু সংবাদমাধ্যম এআই ব্যবহার করে কর্মী ছাঁটাইয়ের উদ্যোগ নিয়েছে। তবে সাংবাদিকতায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পর্যবেক্ষণে বর্তমানে বহুল আলোচিত এআই সফটওয়্যার চ্যাট জিপিটির নানা অসংগতি সামনে এসেছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত