গত নভেম্বরে তৈরি হওয়ার পর সারা বিশ্বেই এখন চ্যাটজিপিটি নিয়ে একটা আগ্রহ তৈরি হয়েছে। শুধু জানুয়ারি মাসেই বিশ্বের প্রায় ১০ কোটি মানুষ চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করেছে। এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার একটি চ্যাটবট সিস্টেম বা আলাপচারিতা করার অ্যাপলিকেশন। বর্তমানে ‘চ্যাটজিপিটি’ শব্দটি এখন কম বেশি সবার কাছেই পরিচিত। গুগলের মতোই এইটি সার্চ ইঞ্জিন এটি। তবে গুগলের চেয়ে অনেকটাই আলাদা এর কার্যকলাপ। অন্য সার্চ ইঞ্জিনের মতো চ্যাটজিপিটি এখনো লাইভ বা সরাসরি ইন্টারনেটে কাজ করে না। ইন্টারনেটে ২০২১ সাল পর্যন্ত যেসব তথ্য রয়েছে, শুধু সেগুলোই তার তথ্যভাণ্ডারে রয়েছে। জটিল কোডের সমস্যা থেকে গণিত সমাধান, ভার্সিটির অ্যাসাইনমেন্ট, রিপোর্টসহ রেসিপি সব ধরনের তথ্য পাবেন এতে। চ্যাটজিপিটি রচনা লিখতে পারে, চাকরির বা ছুটির আবেদন, চুক্তিপত্র, কোন ঘটনা সম্পর্কে ব্যাখ্যা, ছোটখাটো প্রতিবেদন তৈরি করে দিতে পারে। এটি কম্পিউটার প্রোগ্রাম, গান বা কবিতাও লিখে দিতে পারে ব্যবহারকারীর জন্য। এবার চ্যাটজিপিটির প্রযুক্তি সহজলভ্য করতে নতুন এপিআই (অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস) উন্মুক্ত করেছে ওপেন এআই। ফলে যে কোনো প্রতিষ্ঠান বা নির্মাতা নিজেদের অ্যাপে সহজেই চ্যাটজিপিটির প্রযুক্তিসুবিধা যুক্ত করতে পারবে। নতুন এপিআইটি কাজে লাগিয়ে বর্তমানের তুলনায় প্রায় ১০ গুণ কম খরচে চ্যাটজিপিটির সব সুবিধা ব্যবহার করা যাবে। এক ব্লগ পোস্টে ওপেনএআই জানিয়েছে, এপিআইতে চ্যাটজিপিটি ও হুইস্পার মডেল প্রবর্তন করা হয়েছে। ফলে এখন অত্যাধুনিক ভাষা এবং স্পিচণ্ডটু-টেক্সট ফিচারে অ্যাক্সেস পাবে ডেভেলপাররা। যদিও এর জন্য পয়সা খরচ করতে হবে ডেভেলপার ও প্রতিষ্ঠানকে। এরই মধ্যে চ্যাটজিপিটির এপিআই ব্যবহার শুরু করেছে স্ন্যাপচ্যাট সহ বেশ কয়েকটি কোম্পানি। চ্যাটজিপিটির এপিআই ইনস্টল করতে খরচ হচ্ছে মাত্র শূন্য দশমিক ০০২ ডলার। ওপেনএআই বলছে, তাদের প্রচলিত জিপিটি-৩.৫ মডেলগুলোর চেয়ে যা ১০ গুণ সস্তা। হুইস্পার এপিআইতে প্রতি মিনিট অডিও প্রতিলিপি করতে কেবল শূন্য দশমিক ০০৬ ডলার খরচ হবে।