ওপেন এআইয়ের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন চ্যাটবট চ্যাটজিপিটিকে নিয়ে বিশ্বজুড়ে আলোচনা চলছে। এ চ্যাটবট নিয়ে প্রচলিত ধারণা হলো- অলস শিক্ষার্থীদের জন্য এটি আশীর্বাদ, পক্ষান্তরে শিক্ষকদের জন্য বিরক্তির কারণ। তবে বাস্তবতার সঙ্গে মিল নেই এ ধারণার। অন্তত সাম্প্রতিক এক জরিপ সেটিই বলছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জনহিতকর প্রতিষ্ঠান ওয়াল্টন ফ্যামিলি ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত জরিপে বলা হয়েছে, শ্রেণি কার্যক্রমের জন্য শিক্ষার্থীদের চেয়ে শিক্ষকরা বেশি পরিমাণে চ্যাটবট ব্যবহার করছেন। এ জরিপে যুক্তরাষ্ট্রের ১ হাজার দুই জন শিক্ষক এবং ১ হাজার শিক্ষার্থীর মতামত নেওয়া হয়েছে। জরিপের তথ্য অনুযায়ী, দেশটির ৫১ শতাংশ শিক্ষক চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করছেন। অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে এই হার ৩৩ শতাংশ। এমনকি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষক শিক্ষার্থীদের চ্যাটজিপিটি ব্যবহারের অনুমতি দিচ্ছেন। জরিপে দেখা যায়, অনুমতি ছাড়া চ্যাটজিপিটি ব্যবহারের দায়ে শিক্ষার্থীদের তিরস্কার করছেন ১০ শতাংশ শিক্ষক। অন্যদিকে ৩৮ শতাংশ শিক্ষক তাদের শিক্ষার্থীদের এটি ব্যবহারের অনুমতি দিচ্ছেন। অর্থাৎ, তুলনামূলকভাবে প্রায় চারগুণ বেশি শিক্ষক চ্যাটজিপিটির প্রতি ইতিবাচক। জরিপে অংশ নেওয়া ৫৯ শতাংশ শিক্ষক মনে করেন, চ্যাটজিপিটিকে শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে, যা উপেক্ষা করা যাবে না। অন্যদিকে ২৪ শতাংশ শিক্ষক মনে করেন, প্রতারণার কাজে শিক্ষার্থীদের জন্য এ চ্যাটবট ব্যবহৃত হবে। চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, শেখানো এবং শিখন কার্যক্রমে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে এ চ্যাটবট। ৬৮ শতাংশ শিক্ষার্থী মনে করেন, আরও ভালো ছাত্র হতে সহায়তা করতে পারে চ্যাটজিপিটি এবং ৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থী মনে করে, দ্রুততার সঙ্গে শিখতে সহায়তা করে পারে এটি। এক্ষেত্রে ৭৩ শতাংশ শিক্ষক একমত পোষণ করেছেন। তারা বলছেন, চ্যাটজিপিটি শিক্ষার্থীদের আরও বেশি শিখতে সহায়তা করবে।