ডাক ও টেলিযেগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট ডাক ব্যবস্থা অপরিহার্য। স্মার্ট ডাকঘর রূপান্তর নিশ্চিত করতে ডিজিটাল দক্ষতাসম্পন্ন স্মার্ট ডাককর্মী তৈরি করতে হবে। ডাককর্মীদের ডিজিটাল দক্ষতা সম্পন্ন মানব সম্পদ হিসেবে তৈরি করা বড় চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ যত কঠিনই হোক তা মোকাবিলা করে স্মার্ট ডাকঘর বিনির্মাণের স্বপ্ন বাস্তবায়ন আমাদের করতেই হবে। সামনের দিনে স্মার্ট ফোনের মতো একটা ডিজিটাল যন্ত্র দিয়ে তাদের ডাকসেবা পরিচালনা করতে হবে। তিনি ডাক কর্মীদের ডিজিটাল দক্ষতা প্রদানে করণীয় নির্ধারণ ও বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। মন্ত্রী ডাক অধিদপ্তরের এডিএ কর্মীদের একটি স্থায়ী ব্যবস্থা করার আহ্বান জানান।
মন্ত্রী মার্চ ঢাকায় ডাকভবন মিলনায়তনে বাংলাদেশ পোস্ট অফিসের জন্য অটোমেটেড মেইল প্রসেসিং সেন্টার নির্মাণ সমীক্ষার চূড়ান্ত প্রতিবেদন হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করছিলেন। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, চিঠির যুগ শেষ হয়ে গেলেও ডাকের প্রয়োজনীয়তা ও কর্মপরিধি বৃদ্ধি পাওয়ায় ডাকের নতুন করে ঘুরে দাঁড়াবার সময় এসেছে। দেশব্যাপী ডাকঘরের বিশাল অবকাঠামো ও নেটওয়ার্ক যথাযথভাবে কাজে লাগাতে পারলে দেশ উপকৃত হবে।
ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. হারুনুর রশীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মাহবুব-উল-আলম ও এটুআই কর্মকর্তা ফরহাদ শেখ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
মাহবুব-উল-আলম, স্মার্ট ডাকঘর বিনির্মাণে এ উদ্যোগকে একটি মাইলফলক কাজ আখ্যায়িত করেন।