স্মার্টওয়াচের জনপ্রিয়তা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। স্মার্টফোনের মতো স্মার্টওয়াচও হয়ে উঠেছে আমাদের নিত্যসঙ্গী। শুধু সময় দেখার জন্যই নয়, নানান কাজে ব্যবহার করা যায় একটি স্মার্টওয়াচ। বলা যায়, স্মার্টফোনের প্রায় সব কাজই করা যায় হাতের এ ঘড়িতে। কল দেওয়া, রিসিভ করা, গান শোনা, গেম খেলা, সোশ্যাল মিডিয়ার নোটিফিকেশন সবই পাওয়া যায় স্মার্টঘড়িতে। এ ছাড়া স্বাস্থ্য, স্পোর্টস ফিচারের সঙ্গে রয়েছে জিপিএস সুবিধাও। পাশাপাশি ফিটনেস ও নারীদের জন্য বিশেষ স্বাস্থ্য ফিচার তো রয়েছেই। এখনকার প্রায় সব স্মার্টওয়াচই পানি এবং ধুলা থেকে সুরক্ষিত রাখতে ওচ৬৮ রেটিং প্রাপ্ত। এতসব কাজ করার ফলে স্মার্টওয়াচের চার্জ দ্রুত শেষ হয়ে যায়। এমনকি ব্যাটারির আয়ুও কমতে থাকে দ্রুত।
আবার অনেক সময় দেখা যায় নতুন স্মার্টওয়াচেও বেশিক্ষণ চার্জ থাকছে না। মূলত ব্যবহারের ছোট ছোট কিছু ভুলের কারণে এমনটা হয়। চলুন দেখে নেওয়া যাক স্মার্টওয়াচের ব্যাটারির আয়ু বাড়ানোর ৪ উপায়-
অটোমেটিক ব্রাইটনেস বন্ধ রাখুন : অনেকেই স্মার্টফোনের মতো স্মার্টওয়াচেও অটোমেটিক ব্রাইটনেস অন করে রাখেন। এটি ব্যবহারের সুবিধার্থেই করেন। যেন বাইরের আলোর তারতম্যের সঙ্গে মিল রেখে স্মার্টওয়াচের ব্রাইটনেস নিজে থেকেই বাড়তে এবং কমতে পারে। তবে জানেন কি? এতেই আপনার স্মার্টওয়াচের চার্জ অনেক তাড়াতাড়ি খরচ হচ্ছে। কারণ যত বেশি ব্রাইটনেস দিয়ে রাখবেন, ততই ব্যাটারি বেশি শেষ হবে। তাই অটোমেটিক ব্রাইটনেস বন্ধ রাখুন।
সেমি হাইবারনেশন মোড অন করুন : স্মার্টওয়াচটি সেমি হাইবারনেশন মোডে থাকলে তা ব্যাটারি কম শেষ করে। এটি স্ক্রিন বন্ধ করে পাওয়ার বোতামটি ক্লিক না করা পর্যন্ত চালু হবে না। একবার স্ক্রিন চালু হলে, এটি অটোমেটিকভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। শুধু তাই নয়, এতে আপনার স্মার্টওয়াচের ব্যাকগ্রাউন্ডে কোনো রকম কোনো অ্যাপ চলবে না।
শাটডাউন করে রাখুন : অনেকেই স্মার্টফোনের সেন্সর চালু রাখেন আবার ব্যবহার না করলেও খোলা রেখে দেন। এটি একেবারেই করবেন না। স্মার্টওয়াচটি যখন কোনো কাজে লাগছে না, সেসময় স্মার্টওয়াচ শাটডাউন করে রাখুন। এতে চার্জ শেষ হবে না। অর্থাৎ আপনি যে চার্জে বন্ধ করবেন, সেই চার্জেই পেয়ে যাবেন। আপনি যদি অফ না করে রাখেন, তাহলে নোটিফিকেশন বার কাজ করতে থাকবে। এতে চার্জ নিজে থেকেই অনেকটা কমে যাবে।
ব্লুটুথ বন্ধ রাখুন : যখন স্মার্টওয়াচটি ব্যবহার করছেন না অথচ সেটি অন রয়েছে। সেক্ষেত্রে তাতে চার্জ নিজে থেকেই কমে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে। এর কারণ হলো, আপনি যতক্ষণ ব্লু টুথ অন করে রাখবেন, ততক্ষণ টানা আপনার স্মার্টওয়াচটিতে কোনো না কোনো নোটিফিকেশন আসতে থাকবে। ফলে চেষ্টা করুন ব্লুটুথ বন্ধ করে রাখার।