ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

আকাশে ড্রোন উড়িয়ে শিল্পকর্ম

আকাশে ড্রোন উড়িয়ে শিল্পকর্ম

অন্ধকার আকাশে শত শত ড্রোন উড়িয়ে শিল্পকর্ম তৈরি করে আমস্টারডামের ‘স্টুডিও ড্রিফট’। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের সাহায্যে এমন শিল্পকর্ম তৈরি করেন তাদের প্রধান দুই ব্যক্তি লোনেকে গর্ডাইন ও রাল্ফ নাওটার। স্টুডিও ড্রিফটের এমন কাজ বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। তাদের কার্যালয় আমস্টারডামে। গর্ডাইন আর নাওটার সঙ্গে আরও ১৫ জন কাজ করেন। স্টুডিও ড্রিফটের তৈরি শিল্পকর্ম প্রমাণ করে যে, উচ্চপ্রযুক্তি বিষয়টি সুন্দর ও কাব্যিকও হতে পারে।

রাল্ফ নাওটা বলেন, আমার মনে হয় এআই আর্টিস্টদের জায়গা নিচ্ছে। তবে আমি মনে করি না যে, এটা খারাপ। কারণ আমার মতে, একজন ভালো আর্টিস্টের উচিত ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন ভাবনা সৃষ্টি করা। ২০২২ সালে জার্মানির হামবুর্গের এলবফিলহার্মোনির পঞ্চম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শিল্পকর্ম তৈরি করেছিল স্টুডিও ড্রিফট। ৩০০-র বেশি ড্রোন রাতের অন্ধকার ভেদ করে আকাশে উড়েছিল। স্থান এবং এলবফিলহার্মোনির কনসার্ট হলের স্থাপত্য থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে লাইট ইনস্টলেশনটি তৈরি করা হয়েছিল। তবে দুঃখজনকভাবে রিহার্সালের সময় ১৫টি ড্রোন পড়ে গিয়েছিল। বাইরের কিছুর প্রভাবে, নাকি প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে এমনটা হয়েছিল, তা জানা যায়নি। মূল অনুষ্ঠানের সময়ও পাঁচটি ড্রোন পড়ে গিয়েছিল। এরপর নিরাপত্তার কারণে পরের শোগুলো বাতিল করা হয়। এতে শোয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাই হতাশ হয়েছিলেন। স্টুডিও ড্রিফট এখন ‘গুগল কোয়ান্টাম এআই’ এর কাজ করছে।

কোয়ান্টাম কম্পিউটার কীভাবে কাজ করে তা কল্পনায় তুলে ধরার লক্ষ্য তাদের। সাধারণ কম্পিউটারের তুলনায় কয়েক লাখ গুণ দ্রুত কাজ করতে পারে কোয়ান্টাম কম্পিউটার। এমন গতির কারণ, এটি গণনার কাজ একসঙ্গে চালিয়ে যায়, একটার পর একটা নয়। অনেকটা গাছের মতো, যেখানে বৃদ্ধি ও সালোক সংশ্লেষণ একই সময়ে ঘটে থাকে। টুইটার ভবিষ্যতে বিশ্বের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য তথ্যসূত্র হয়ে ওঠার লক্ষ্যে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানের নতুন প্রধান নির্বাহী (সিইও) লিন্ডা ইয়াকারিনো।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত