মানুষের চির আগ্রহের মহাকাশে দেখা গেল অদ্ভূত আলোর ঝিলিক। ঠিকরানো এই আলো আগে কখনোই দেখেনি মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। তাই এই খবর প্রকাশ্যে নিয়ে এলেন তারা। মহাকাশে কোথায়, কখন কী ঘটছে তা দেখার জন্য টেলিস্কোপ, একাধিক মহাকাশযানে চোখ রেখে বসে আছেন বিজ্ঞানীরা। এরই মধ্যে তাদের নজরে এসেছে এই আলোর ঝলক। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা দেখেছেন প্রতি ২০ মিনিট অন্তর শক্তিশালী রশ্মি বেরিয়ে আসছে। বিজ্ঞানীরা অনুমান করছেন, যে একটি কোনো নতুন ধরনের তারা থেকে নিঃসরণ হতে পারে। নেচার জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে এই স্টাডির কথা। যদিও ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের মতে, ঘূর্ণায়মান নিউট্রন থেকে শক্তিশালী রশ্মি নির্গত হয়ে এই আলোর ছটা তৈরি করেছে। জার্নালে বলা হয়েছে, অদ্ভূত বৈশিষ্ট্যের এই নক্ষত্রগুলিকে খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার বেন্টলির কার্টিন বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিজ্ঞানী নাতাশা হার্লি-ওয়াকার বলেছেন, আমরা সবাই এখনও বেশ অবাক এবং কৌতূহলী এবং বিস্মিত।
তবে এটি কোনো নতুন ঘটনা নয়। এর আগেও এমন আলোর দেখা পেয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা। ২০১৮ সালের সেই ঘটনার যথার্থ উত্তর পাওয়া গিয়েছিল ২০২১-এ। পরবর্তীতে দেখা যায়, সেটি একটি নক্ষত্র। তিনমাস জ্বলে উঠে আলোর ছটা ছড়িয়ে পড়ে তার জীবন আয়ু শেষ হয়ে যায়। অনেকে মনে করেছিলেন এও হতে পারে ভিনগ্রহীদের পাঠানো কোনও সঙ্কেত হতে পারে। কিন্তু সেই দাবিকে নস্যাৎ করেছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। আগের অভিজ্ঞতা থেকেই বিজ্ঞানীরা মহাকাশে অন্যান্য অনুরূপ বস্তুর সন্ধান শুরু করেন। নাতাশা হার্লি-ওয়াকার এবং তার দল পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার মুর্চিসন ওয়াইডফিল্ড অ্যার একযোগে রাত রাতের আকাশ পর্যবেক্ষণ করছিলেন, সেই সময় ২০ মিনিট অন্তর অন্তর একটি করে আলোর ফ্ল্যাশ চোখে আসে তাদের। এর আগে একাধিক পৃথিবীতে বহির্জগত থেকে এসেছে বেতার-বার্তা। মহাকাশের সুদূর গ্যালাক্সি থেকে বারে বারেই রহস্যময় তরঙ্গ ভেসে এসেছে।