ব্রাজিলে প্রায় কৃষকের ভূমিকা নিয়েছে রোবট। এই যন্ত্র ক্ষেত ঘুরে ফসলের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করছে। শুধু তাই নয়, নির্দিষ্ট ফসলের ক্ষেতে আগাছা নির্মূলের ওষুধও ছিটিয়ে দিচ্ছে। তাতে কৃষকের ব্যয়সাশ্রয় হচ্ছে খরচ বাঁচে বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। ‘সোলিক্স এজি রোবোটিকস’ নামে এই রোবট বাজারে এনেছে এগ্রিকালচার স্টার্টআপ কোম্পানি সোলিনফটেক। কোম্পানিটির সিইও ব্রিটালডো হার্নান্দেজ বলেছে, বিশ্বের বৃহত্তম খাদ্য উৎপাদনকারী দেশ ব্রাজিল ও যুক্তরাষ্ট্রে কৃষি সরঞ্জামের চাহিদা বাড়ছে। দুই দেশেই কৃষি রোবট দ্রুত সরবরাহের পরিকল্পনা করছে কোম্পানি। কোম্পানিটি দাবি করছে, তারাই প্রথম এত বড় পরিসরে কৃষি রোবট তৈরি করেছে। অন্যান্য কৃষি প্রযুক্তি ড্রোন ও স্যাটেলাইটের মতো এই রোবটও খাদ্য উৎপাদনে অপচয় রোধ করে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন বিশ্লেষণী তথ্য ব্যবহার করে উন্নত ফলন ও টেকসই উৎপাদনে সাহায্য করে। হার্নান্দেজ বলেছে, যন্ত্রটিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করা হয়েছে। এর মধ্যে ‘হান্টার’ নামে এক ফিচার রয়েছে, যা আলোকরশ্মি ও বৈদ্যুতিক শকের মাধ্যমে পোকামাকড় দমন করে। রোবটটি প্রতিদিন ২৪ ঘণ্টা কৃষি খামার পরিদর্শন করতে পারে। এটি কৃষি খামারের বাস্তুতন্ত্রকে বুঝতে পারে ও সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে পারে।
হার্নান্দেজ আরও বলেন, ‘আমরা এমন এক রোবট বানাতে চেয়েছি যেটা কৃষি খামারেই থাকে।’ এবছর ব্রাজিল ও যুক্তরাষ্ট্রে ৪০টি ও আগামী বছর ২৫০টি রোবট সরবরাহের পরিকল্পনা নিয়েছে সোলিনফটেক। গত বছরের চেয়ে এবছর ২০টি রোবট বেশি সরবরাহ হবে। কোম্পানিটি বলছে, তাদের দুটি কারখানায় প্রতি বছর প্রায় ১ হাজার ৬০০ রোবট উৎপাদন করা যায়। তাদের একটি কারখানা ব্রাজিলে ও আরেকটি যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত। সোলিনফটেক বলছে, ভুট্টা উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত যুক্তরাষ্ট্রের কৃষকরা রোবটটির স্প্রে ফিচারটি পরীক্ষা করে দেখেছেন।