উন্মুক্ত হওয়ার পর থেকেই পুরো বিশ্বে আলোড়ন তুলেছে জেনারেটিভ এআই। এমন কোনো কাজ নেই- যা এ জেনারেটিভ এআই করছে না। কবিতা, গল্প, গান, ছবি আঁকাণ্ড কী করছে না এই প্রযুক্তি? ধারণা করা হচ্ছে নতুন বছরে প্রযুক্তি খাতে ব্যাপক পরিবর্তন আনবে এই প্রযুক্তি।
ডিজিটাল নিরাপত্তা : মানুষ ডিজিটাল যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি সম্পর্কে সচেতন হয়ে উঠছে। তারা ব্যবহারের বিশ্বাস ও আস্থা বৃদ্ধি করতে চায়। ফলে ডিজিটাল নিরাপত্তা একটি প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন আকারে দেখা দিয়েছে। মানুষ ডিজিটাল দুনিয়ার গতিবিধিকে আরও নিরাপদ রাখতে চায়। সাইবার সিকিউরিটি ও এথিক্যাল হ্যাকিং একটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক হয়ে উঠতে পারে আগামী দিনগুলোয়। এ দুই ক্ষেত্রে চাকরির বাজার তৈরি হবে।
ব্রেইন কম্পিউটার: নিউরোলিংক ২০২৪ সালে প্রযুক্তির দুনিয়ায় নতুন চমক হাজির করতে পারে। কম্পিউটার ব্রেইন নিয়ে গবেষণা এগিয়ে যাবে আরো কয়েক ধাপ- যা মানুষের সক্ষমতাকে বাড়িয়ে দেবে। জয় করবে চোখ ও অন্য অঙ্গহানির মতো বিষয়। কিন্তু নিউরোলিংকের লক্ষ্য এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, কোম্পানিটি মানুষ ও চারপাশের দুনিয়ার মধ্যকার যোগাযোগব্যবস্থাতেই মৌলিক পরিবর্তন করতে চায়। ২০২৩ সালে অনুমোদন পাওয়ার পর প্রতিষ্ঠানটি দ্রুত এগিয়ে চলছে। যারা শারীরিকভাবে অক্ষম, তাদের জন্য নতুন মাইলফলক তৈরি করবে নিউরোলিংক। স্বাভাবিকভাবেই আগামী দিনগুলোয় এটি অন্যতম আকর্ষণের বিষয় হয়ে দাঁড়াবে।
শিক্ষা খাত: শিক্ষা খাতে প্রতিবন্ধকতা দূর করে নতুন দিগন্ত উন্মুক্ত করবে প্রযুক্তি। এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে ব্লুমবক্স ডিজাইন ল্যাবসের মতো প্রতিষ্ঠান। ব্লুমবক্স ডিজাইন ল্যাবস কাজ করে ডিজাইন নিয়ে। এর মধ্য দিয়ে এনজিও প্রতিষ্ঠানগুলো এগিয়ে যাবে। আরও প্রযুক্তি রয়েছে উদীয়মান পর্যায়ে। এছাড়া পরিবেশ অনুকূল প্রযুক্তি ও কোয়ান্টাম কম্পিউটিং গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন হয়ে উঠবে।
ড্রোন: আরও কয়েক বছর আগে প্রযুক্তি খাতের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল ড্রোন। সময়ের পরিক্রমায় ড্রোন এখন অপরিহার্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পণ্য সরবরাহ থেকে শুরু করে গোয়েন্দা তৎপরতা, উদ্ধার কাজসহ নানা কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে ড্রোন। ফসলের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ, সেচ ব্যবস্থাপনা, রিয়েল এস্টেট পর্যবেক্ষণ- এসব কাজেও বাড়বে ড্রোনের ব্যবহার। এ ছাড়া প্রকৌশল ও পরিবহন খাতেও ভূমিকা রাখবে ড্রোন।
গেম: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও মেশিন লার্নিংয়ের উত্থানের গুরুত্বপূর্ণ একটি উদাহরণ গেমিফিকেশন। এর মধ্য দিয়ে শিক্ষা খাতকে উপভোগ্য করে তোলা যায়। আগামী বছর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও গেমিফিকেশনের মধ্যকার সম্পর্ক আরও গভীর হবে। গেমিফিকেশনের বড় পরিবর্তন এরই মধ্যে দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে ফিটনেস অ্যাপগুলোর ক্ষেত্রে।
সেখানে রিওয়ার্ড দেওয়া ও অভ্যাস গড়ে তোলার চর্চা রয়েছে।
স্বাস্থ্যসেবা: স্বাস্থ্যসেবা খাতে ২০২৪ সালে আরও কার্যকর ও উপযোগী প্রযুক্তির উদ্ভাবন ঘটবে। এর একটি হলো শ্রবণ সমস্যা দূরীকরণ। এ ক্ষেত্রে দৃষ্টি ও শ্রবণসীমার সমন্বয় করে তৈরি করা হবে ডিভাইস। ফলে শ্রবণজনিত সমস্যা কমে আসবে আগামী দিনগুলোয়। মানসিক স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে উইভিবিন ইনকরপোরেশনের প্রধান নির্বাহী স্টিফেন ল্যাটনার থেরাপি সামনে আনছেন। উইভিবিনের যুগান্তকারী এ প্রযুক্তি উরোলজিক্যাল সমস্যা শনাক্ত ও সমাধানে ব্যবহৃত হবে।