টাইম ট্রাভেল কি সত্যিই সম্ভব?

প্রকাশ : ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

‘কোয়ান্টাম এনট্যাঙ্গলমেন্ট’ ব্যবহার করে বিজ্ঞানীরা এখন এক নতুন গবেষণা নিয়ে হাজির হয়েছেন। গিজমোডোর রিপোর্ট অনুযায়ী, এ এক অদ্ভুত উপায়, যেখানে কোয়ান্টাম কণাগুলো একে-অপরের সঙ্গে যেন কার্যত কথা বলতে পারে। ইংরেজিতে যাকে বলা হয় ‘ইন্টারঅ্যাক্ট’ করা। ২০১৮ সালের মার্ভেল-মুভি ‘অ্যান্ট-ম্যান অ্যান্ড দ্য ওয়াস্প’-এও টাইম ট্রাভেল নিয়ে কিছুটা এরকম পন্থারই কথা বলা হয়েছিল।টাইম ট্রাভেল বিষয়টি অনেকের কাছেই একটি ভারী মেশিনের সঙ্গে মানুষের স্নায়ুতন্ত্রকে যুক্ত করে অতীত বা ভবিষ্যতে ভ্রমণ করা। ‘কোয়ান্টাম এনট্যাঙ্গলমেন্ট’ ব্যবহার করে বিজ্ঞানীরা এখন এক নতুন গবেষণা নিয়ে হাজির হয়েছেন। সাম্প্রতিক গবেষণায় বলা হচ্ছে- ‘গেডানকেন এক্সপেরিমেন্ট’। এই শব্দ বা ‘টার্ম’ সর্বপ্রথম ব্যবহার করেছিলেন অ্যালবার্ট আইনস্টাইন। পদার্থবিদ্যার সীমানার বাইরে গিয়ে বাস্তব পরীক্ষার পরিবর্তে তাত্ত্বিক পরীক্ষার উল্লেখ করতে গিয়েই এই শব্দের উল্লেখ করেন তিনি। ‘ফিজক্স রিভিউ লেটার্স’-এ নতুন গবেষণা দলটির এ কাজটিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হয়েছে, যেখানে ‘কার্যকর টাইম ট্রাভেল’-এর উল্লেখ রয়েছে। এখন স্বভাবতই আপনার মনে প্রশ্ন জাগছে, কী এই ‘কোয়ান্টাম এনট্যাঙ্গলমেন্ট’? এটি হল এমনই এক ঘটনা, যেখানে দুই বা ততোধিক কোয়ান্টাম কণার বৈশিষ্ট্য একে-অপরের দ্বারা নির্ধারিত হয়। যেহেতু দুটি কণার এনট্যাঙ্গেলমেন্ট (বাংলায় যাকে বলে জট), এক্কেবারে কোয়ান্টাম স্তরে ঘটে, তাই তাদের শারীরিক দূরত্বসহ অন্যান্য উপাদান ইন্টার‌্যাকশনে কোনো প্রভাব ফেলে না। ফলে জট বাঁধা একটা কণার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে তথ্য দিতে পারে অন্য আরেকটি কণা। এই গবেষণায় টাইম ট্রাভেল সম্পর্কিত যে পদ্ধতির সাহায্য নেওয়া হয়েছিল, তার নাম ‘ক্লোজড-টাইমলাইক কার্ভ’।