ঢাকা ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

লাল গ্রহ মঙ্গলের পেটে মহাসমুদ্র!

লাল গ্রহ মঙ্গলের পেটে মহাসমুদ্র!

লাল গ্রহ মঙ্গল। এই গ্রহে পানির অস্তিত্ব আছে তা বহু আগেই জানা গেছে। এ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন আপডেট পাওয়া যায়। তবে এবারে যা জানা গেল, এক কথায় তা অবিশ্বাস্য! কী জানা গেল? মঙ্গল গ্রহে পানি আছে এ নিয়ে বহুদিন ধরেই চলছে আলোচনা। তবে পানি তরল আকারেই আছে, না কি বরফ আকারে তা নিয়ে ছিল তর্ক। এ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন আপডেট পাওয়া গিয়েছে। এবারে জানা গেল এক দারুণ তথ্য। সৌরজগতের চতুর্থ এই গ্রহের ভূপৃষ্ঠের অনেকটা গভীরে তরল পানির অস্তিত্ব মিলেছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার রোবটযান মার্স ইনসাইট ল্যান্ডারের পাঠানো তথ্য ব্যবহার করে এক গবেষণায় এই সংবাদ জানা গিয়েছে। লাল গ্রহ মঙ্গলে ২০১৮ সাল থেকে রয়েছে ইনসাইট ল্যান্ডার। ৪ বছরের বেশি সময় ধরে রোবট-যানটি মঙ্গলে ভূকম্পনসংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করেছে, পরিমাপ করেছে। কীভাবে ভূমিকম্পে সেখানকার ভূপৃষ্ঠভাগ কেঁপে ওঠে, সেই পরীক্ষার পাশাপাশি ভূপৃষ্ঠের নীচে কোনো উপকরণ বা পদার্থ রয়েছে, তা নিয়েও পরীক্ষা করেছে যানটি।

ভূপৃষ্ঠের অনেক গভীরে পানির সন্ধান : রোবটযানের পাঠানো তথ্যের ভিত্তিতে গবেষকরা বলছেন, মঙ্গলে তরল পানির অস্তিত্বের খবর পেয়েছেন তারা। আর সম্ভবত এর অবস্থান ল্যান্ডারের নিচে ভূপৃষ্ঠের অনেক গভীরে।

২০ কিমি. নিচে পানি : জানা গিয়েছে, তরল পানির বিশাল ওই ভাণ্ডার মঙ্গলের ভূপৃষ্ঠ থেকে ১১.৫ কিমি. থেকে ২০ কিমি. নিচে অবস্থিত। সেখানে তরল পানির যে উপস্থিতির খবর পাওয়া গিয়েছে, তা অনুমানের চেয়ে বেশি।

পানির স্তর- পৃথিবীতে ভূপৃষ্ঠের উপর থেকে পানি ভূগর্ভে ঢোকে। সেখান থেকে আরও গভীরে সঞ্চিত হয়। বিজ্ঞানীর বলছেন, তারা মনে করেন, একই প্রক্রিয়া মঙ্গলেও। তবে এই প্রক্রিয়া যখন মঙ্গলে হয়েছে, তখন মঙ্গলের উপরিভাগ এখনকার চেয়ে বেশি গরম ছিল। এই গবেষণা প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন, ‘স্ক্রিপস ইনস্টিটিউশন অব ওশনোগ্রাফি’র ম্যাথিয়াস মর্জফেল্ড ও ‘বার্কলের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া’র মাইকেল ম্যাঙ্গা। ‘প্রসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব সায়েন্স’ সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে লেখাটি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত