করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষা খাতের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল শিক্ষা, অনলাইন লার্নিং, পাঠদান পদ্ধতির প্রসারে সম্মিলিত চেষ্টায় এগিয়ে যাওয়ার আশাবাদ প্রকাশ করেন হুয়াওয়ে বাংলাদেশের সিইও ঝ্যাং ঝেংজুন। বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে ইউনেস্কো বাংলাদেশ, এটুআই ও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ আয়োজিত ‘কল ফর ভিডিও ক্লিপস’ শীর্ষক প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠানে তিনি এ আশাবাদ করেন। ২৯ ডিসেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডিতে অবস্থিত জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমিতে এ প্রতিযোগিতার পুরস্কার প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ গোলাম ফারুক, জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমির মহাপরিচালক প্রফেসর ড. নিজামুল করিম, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ড. একিউএম শফিউল আজম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। প্রতিকূল এ সময়ে আমাদের দেশের শিক্ষকরা কীভাবে উদ্ভাবনী উপায়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করেছেন, সে বিষয়গুলো তাদের বিভিন্ন ভিডিওর মাধ্যমে তুলে ধরেন। প্রতিযোগিতায় জমা পড়া অসংখ্য ভিডিওর মধ্য থেকে ২০ জন শিক্ষককে প্রতিযোগিতায় চূড়ান্তভাবে বিজয়ী হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। বিজয়ী সবাইকে পুরস্কার হিসেবে ট্যাবলেট প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সিইও বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশে ইউনেস্কোর হেড অব অফিস ও প্রতিনিধি বিয়াট্রিস কালদুন বলেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার, এনজিও ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহায়তা প্রদান করতে ইউনেস্কো সবসময় প্রস্তুত।
ঝ্যাং ঝেংজুন বলেন, বিগত ২২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের আইসিটি পরিবারের একজন সদস্য হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে হুয়াওয়ে। বেশ কয়েক মাস থেকে বৈশ্বিক মহামারির কঠিন সময়ে বাংলাদেশের শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রাখতে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও কমিশনসহ বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষকদের সহযোগিতায় পাঠদান পদ্ধতি চলমান রাখতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে হুয়াওয়ে। এ পরিস্থিতিতে আমরা আমাদের কার্যক্রমগুলোও আগের চেয়ে আরও বিস্তৃত করে আইসিটির সুবিধাগুলোকে আরও বেশি মানুষের কাছে আরও সহজলভ্য করার চেষ্টা করেছি। অন্যদিকে বাংলাদেশের তরুণদের মেধা বিকাশে হুয়াওয়ে সিডস ফর দ্য ফিউচার, আইসিটি প্রতিযোগিতা, আইসিটি বাস প্রকল্প, ডিজি-স্কুল প্রোগ্রাম ও আইসিটি একাডেমিসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এভাবে বাংলাদেশের জন্য নিবেদিতভাবে হুয়াওয়ে কাজ করে যাবে।