মায়াবী মনসা এসে দুধভাত খেয়েই খুঁজে চলে সনাতন মাঠ।
তাই রাতঘুম উধাও হয় চাঁদ-ধোয়া সময়ের হাটে আর
অচেনা ডাহুক এসে ডেকে যায় অদৃশ্য ছায়ায় অভীক্ষা-খাতায়।
অতপর চাঁদের বসন্ত ডোবে নাগিনীর শৈতালী শীত-ঘুম পাড়ায়।
কী যে ঘুম লেগে থাকে সনোকার চোখে নিঃশব্দে অন্ধগুহায়!
আমি কি ডরাই সখি নাগিনীর বিচিত্র ছলা আর কলায়?
না কি দুধের হাঁড়ির ভেতর সাপখেলা দেখানোর কালে-
বসে থাকি অপেক্ষার প্রহর গুনেই সময়ডাঙ্গার মাঠে।
হয়তো ভুবনডাঙ্গার মাঠে তুমি এসে খেলা করো না-দেখা কায়ায়।
আমি তারে ধরি ছাড়ি এপার ওপার আর তার শরীর নিয়েই
বসে থাকি মধ্যরাতে ঈশ্বরী জন্মের ভোর-ভোর আলোর আশায়।