ঢাকা ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ড. নির্মল চন্দ্র শীল

টেকসই উন্নয়নের শপথ
ড. নির্মল চন্দ্র শীল

সভ্যতার বিকাশে মানব জাতির হলো উৎকর্ষ সাধন।

জ্ঞানে-বিজ্ঞানে, শিক্ষা-দীক্ষার বলে করল অনেক মধুর সৃজন।

পরম করুণাময় মহামানবের বেশে প্রচার করলেন যত ধর্মীয় রীতি-নীতি।

কবি-সাহিত্যিক রচলেন শত-সহস্র মনোজ্ঞ মানবতার গীতি।

আদর্শবাদী দেশপ্রেমিক রাজনীতিক এনে দিলেন গণতন্ত্র আত্মত্যাগের বিনিময়ে।

কৃষক ফলালেন সোনাময় ফসল জোগাতে জাতির আহার্য্য দেহের ঘাম ঝরায়ে।

ঘুচে গেছে যত নিদারুণ হাহাকার, দুর্ভিক্ষ, আর অভাব অনটন।

দেশের মর্যাদা আজ মধ্যম সারিতে, ঘটল উন্নতির জাগরণ।

বস্তুগত অভাব হ্রাস পেল বটে, মানসিক শান্তির বাতাবরণ কই?

চারিদিকে আজ দেখি খাই-খাই, হিংসা-বিদ্বেষ করে যত ভাই ভাই।

সর্বশক্তিমানের শক্তি পেয়ে হয়েছে যারা লোভে মোহে অন্ধ।

বোঝে না কেন তারা, প্রকৃতির অমোঘ নিয়মে হয়ে যেতে পারে সবকিছু বন্ধ।

হানাহানি, মারামারি করে হচ্ছে যে শক্তির ক্ষয়।

অশুভ লক্ষণ কিনা, তাই ভেবে মনে জাগে সংশয়।

আর্থিক দারিদ্র্যে হয়ে নিষ্পেষিত কবি সুকান্তকে হতে হল অকালেই ক্ষান্ত।

বেদনা জাগে, সাম্যের কবি নজরুল উন্নতির শিখরে বাকরুদ্ব হয়ে কেন হলেন সর্বস্বান্ত?

স্রষ্টা তোমার সৃষ্টিতে অসুর জিতে কেন বার বার?

আশা রাখি মনে অবশেষে সুর জিতে যায় পুনর্বার।

নিদারুণ বিচিত্র প্রকৃতির নিয়ম অপার রহস্যময়।

স্রষ্টা তুমি চালাও সুপথে তুমি যে করুণাময়।

করি সবে পণ বিনাশিতে যত হৃদয়াসুর বৃত্তি।

ভাঙ্গি দুষ্ট চক্র, কলহ-বিবাদ যাতে হয় নিবৃত্তি।

হীন স্বার্থত্যাগী, ভেদাভেদ ভুলি, চলি সবে টেকসই উন্নয়নের সাথে।

শপথ আজি তাই, পিছনে না ফেলি সকলকে নিয়ে এগিয়ে যাই সত্য ন্যায়ের পথে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত