ঢাকা ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

তারেক হাসান

বিচ্ছিন্ন নাবিক
তারেক হাসান

হে রমণী, তোমার কুঁকড়ানো ওষ্ঠদ্বয়

লাল কালিমায় লেপটে দেয় স্বপ্নীল বেলাভূমি

আমার সমস্ত সুখ লুটে পড়ে দুটি পর্বতের মাঝে

সেখানেই নাকি প্রেমের গুপ্তধন গচ্ছিত আছে।

তোমার কপালের নীলটিপ আমাকে বলে

সুন্দরীর পূজা কীভাবে করতে হয় এখনও শেখোনি?

আমি অবাক হয়ে কাজল পরা চোখে চেয়ে থাকি

চোখের মনিতে খুঁজতে থাকি সুখ নামক শব্দটি।

কিন্তু সেখানে দেখি বারমুডার ট্রায়াঙ্গেল

যার সঠিক সমাধান আজও কেউ দিতে পারিনি

ঘূর্ণপাতের এক অতল গহ্বর, যা থেকে ফেরার পথ নেই

তবুও জানতে চায় মন, কি আছে ওখানে?

যদি প্রেম দাও তবে জীবন বাজি রেখেই গবেষণা চালাব।

আমি এক দূরন্ত নাবিক-

ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাস মোকাবেলা করে

জাহাজ কীভাবে তীরে বেড়াতে হয়,

নোঙর ফেলতে হয় কোথায় বেশ জানি।

কিন্তু তুমি সামন্য ঢেউয়েই নিজের গতিপথ

পরিবর্তন করে খুঁজতে থাকো নতুন কোনো বন্দর

আমি দশ নম্বর বিপদ সংকেত পেয়েও নিশ্চুপ হয়ে যাই

পৃথিবীর সমস্ত রাডারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন

করে দিব অনন্তকালের জন্য,

তোমার সুখ কামনায় তলিয়ে যাব সমুদ্রের গহ্বরে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত