ফুলরঙের কার্ণিশ ঘিরেই যে খাতায় দমকানো
চিৎকারের ভেতরটা চুরমার হয়-
সেইসব লালরঙা ব্যথাতুর খাতায়, কত কী যে মায়া!
এখনও মনের অন্দরে চিঠির শব্দের মতো মায়া দিয়ে যায়।
সেই সব চিৎকারের ধূপগন্ধ, ভোরবেলার ঘুমহীন চোখ,
অসহ্য বেদনার জ¦লন, যন্ত্রণার দীর্ঘশ্বাস, ছেঁড়া বাসি ফুল,
কিছু স্মৃতি, কিছু পোড়া গন্ধ আরও কিছু ভস্ম পোড়া ছাই-
আঁচলের কোনায় এরাও কি ঘুরঘুর করে? ক্ষুধার্ত পাখিদের মতন।
অসুখেও পোড়ে কি আজকাল? আমাদের গোছানো ফসল।
নাকি খামোখা পোড়ার গন্ধ শুঁকে ভিতরের ফুলরঙগুলো
আগুনের উনুন হয়ে দূরের ভাঙনের সাথে মিতালিতে মাতে
আর নিজের অন্তরে তুলে নেয় বিষাদের উষ্ণ রাত্রির সোহাগিত
কাঁকন। বুকের ভেতরে পালকির উদ্যানে ভাসে
জমিনের মায়া, আমের মউল, শৈশবের খেলার মাঠ,
কাজলা দিঘির জল, আদরের আঁচল আর
ধানক্ষেতের কলমিলতার ঢেউ নিয়ে পৃথিবীর পুরোনো করতল
ঘেঁটে তুলে আনে শোভাযাত্রার নতুন সকাল।
কী করে যে পুরোনো জঞ্জাল ফেলে নতুন সকাল হব!
ওরে-ও অন্ধ বাউল। মনের জমিন খুলে তুমিই নিঃশব্দে বলো।
জানি না অন্ধের চোরাবালি কবেই বা শোভাযাত্রা হবে...