রাখাল বেশে মাঠে চরাই যখন গরু
রাখালদের দলপতি আমি কৈশোর তখন শুরু,
ক্লান্তির অবসাদে বাঁশরি বাজাই বটমূলে বসে
ঝিরঝির বাতাসে, ঘুমের আবেশে
শান্তি খুঁজি আমি নইমুদ্দিন নুরু।
আপন বলে কেউ নাই, সবাই করে পর
কখনো বাঁধি কলাপাতার ঘর,
কষ্টের সারথি মন, সারাজীবন ভর
দারুণ খরা বাম পাঁজরে, শুধুই বালুচর।
নিঃসঙ্গতায় ভাবি, ভাবনার পথে
বৈঠা হাতে হই খেয়াঘাটের মাঝি,
পাল তুলে হাল ধরে, ভাটিয়ালির সুর ধরি
এপারওপার, পারাপারে জীবন রাখি বাজি।
কত লোক আসে যায় প্রতিদিন খেয়াঘাটে
অপেক্ষায় থাকি-কে যেন আসবে ফিরে,
এতিমের কষ্টে, নিন্দুকের হাসি পায়!
আমার জন্মদাতাণ্ডজন্মধাত্রী খুঁজি
আঁধারে প্রদীপ জ্বেলে ভাঙা নীড়ে।
নেই! কেউ নেই, এপারে আমি একা!
পাইনি কোন মন মানুষের দেখা,
সময়ের ব্যবধানে হারিয়ে সব
নিঃস্বের মতো! ওপারের পথে যাচ্ছি একা।