তারপর...
এই অন্ধকারে, আরও বহুদূর যাব, যাওয়া যাবে-
নির্ভয়ে ঠোঁটের কোণে শিস ওঠায়ে
শ্মশানের আচমকা প্রেতভয় একদম নিজ করে।
তারপর...
বিমুগ্ধ সাত নক্ষত্র ছুঁয়ে মৃত মানুষের অদৃশ্য ছায়া,
কিতাবের শিরোনাম শোনাবে। খুব নিকট হতে
শিশুদের কান্নায় মিলিয়ে যাবে দূরের হলুদ বাতি;
নির্জন নদীর সমুদ্র হারানোর গান-উড়ে আসবে
অথচ শোনা হবে না। কোনো মৌসুম সুর। কেবল
বনের বাতাস কয়েকটা কাশি তুলে হারায়ে যাবে
সেই যাবে, আর পালটাবে এক উন্মাদনা প্রোগাপাণ্ডা
এবং প্রবেশ করবে অচেনা সেইসব সমতল ভাঙা
পথের আবিষ্কার, তখনি অভিভাবকের নিঃসঙ্গতা
রেখে যাব, এখানে। বাইসাইকেলের পেছনে। কারোর
মনে না আসুক, লোকটা সব অপেক্ষা নিয়ে গেল।
ঘাসে শিশির জমতে শুরু করেছে
জ্যোৎস্নায়-গ্রহ লাগা শেষ হলে, আমরা আবার
চোখের কোণে একটা শীত এনে গাঢ় সিদ্ধান্ত নেব।
চুমু শাসনে রেখে বরফ হতে থাকবে
সেইসব ঠোঁট থেকে বেরোয়ে পড়া স্থাপত্য-কথাগুলো;
তারপর মনে পড়ে যাবে-প্রস্তুতি।
রক্তের ভেতরে ভ্রমণগুলোর শাদা খরগোশ-
পাহাড়ের মতো শরীর ডিঙিয়ে, দূরের নরম
পাকাধানের সম্ভবতা এনে পুরাতন উঠানে
বিদগ্ধ বালক, বিদগ্ধ বালিকার সন্নিকটে প্রেম,
সাম্রাজ্যযুক্ত উজ্জ্বল খুশিগুলো অপেক্ষা যেন
দারুণ অহংকারে! হাঁপানো নিঃশ্বাসে হয়তো
অধিক নীরবতার পরিচিতি ছাপিয়ে গান হবে
গুটি রেশমের রূপসী কাপড়ে, অসীম কল্পনায়-
ভেব, বাদাম ঘাসে শিশির জমতে শুরু করেছে!
দূতাবাসে ফিরে এ কথাটা বলব
মুদ্রার সর্বশেষ সমৃদ্ধ নাচ, আজও রূপসী নারীর
মতো প্রসারিত হতে হতে সকলের ভেতরে রোজ
নতুন স্বপ্ন দেখায়...
রাত্রিটা কেবল অকল্পনীয়, চুপ করেও
চঞ্চল হয়ে ওঠে, জাগছিল বাদামের বিচি, টেবিলে;
সিদ্ধ ছোলা-চানাচুর যেভাবে পাশ কাটিয়ে
প্রথম নীরবতা ভাঙে-হাতে হাতে খুব মনে হচ্ছিল,
এলাম যদি-পাখির জামা খুলে যেমন
স্নিগ্ধ রাত্রির জিরাফ উঁচু নগর নিঙড়ে, বহুদিন পর-
পূর্ণদৈর্ঘ্য মাঠ অপেক্ষা করছে। ছেলেপুলের ক্লান্ত নেই।
বাড়িটার উঠানে লাল মোরগ, ভোর হলে আলো ভাসে
বিলুরুবিনের মতো পাকাধান, যেমন দেখতে ছিল
শৈশব, নতুন জামার মতো; এখনও দিনগুলো ফেঁপে
ওঠে, কোনো সুন্দর এবং অধৈর্য আনন্দ নিকটে ঢালু
হইলে একসঙে যমজ কায়দায়-যেন বাদুড় উড়ছে
পাকা সফেদার রত্নভ্রমর ঘ্রাণ নিয়ে ব্যাভিচার ছুঁয়ে
ঝরে শাদা পোশাকের পকেটে হাই তোলানো ঋতুস্রাব,
আমাদের ব্রিজটাউন দেখতে হবে,
আর মুদ্রার পিঠে ছবি সাঁটানো...