ঢাকা ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

তছলিম হোসেন হাওলাদার স্মরণে দুটি কবিতা

কবি ও গল্পকার এবং চাঁদপুর সাহিত্য পরিষদের সভাপতি তছলিম হোসেন হাওলাদার ১৫ মে সন্ধ্যায় মৃত্যুবরণ করেন। তিনি আশির দশক থেকে সাহিত্য চর্চা করেন। তার উল্লেখযোগ্য বই- মাঠের যোদ্ধা চাই, কহর দরিয়ার পানি, কখনও শাশ্বত, মুক্তির মিছিলে আমিও ছিলাম, স্মৃতির অন্তরালে। তিনি সম্পাদনা করেছেন ছোটকাগজ অনপেক্ষ ও মৃত্তিকা।
তছলিম হোসেন হাওলাদার স্মরণে দুটি কবিতা

আবদুর রাজ্জাক

সাদা চুলের কবিহারা

আজি এ উদাস দুপুর অলস তুমি-নিথর সমীরণ

সুদূর নিমজ্জনে আসন্ন মেঘ বৃষ্টি হয়ে গেল

কিছু কি বলার ছিল না বাকি প্রিয়!

কাক ডাকা দুপুরে অথবা বধির সন্ধ্যায়

এতো অভিমান থ এতো আক্ষেপ জমা ছিল বুকে

জলের মতো লেপটে গেলে যে!

কৃষ্ণচূড়ারা অপলক চেয়ে আছে

আকুল রোদন- মজ্জনে শোকগাথা

ফুলের বনে শোকসভা

কবি নেই- সাদা চুলের কবি নেই।

কত কথা হৃদয়ে জাগে-

আশ্রমের উঠোনে কবিতা নিয়ে তর্ক

জোড়পুকুর পাড়ে ক্লান্ত দুপুর

কালীবাড়ি মোড়ে অপেক্ষা

রেল লাইনের পাশে টংঘরে চায়ের আড্ডা

অতঃপর কবিগৃহে সাদা চুলের কবি-সঙ্গ।

মোখলেছুর রহমান ভূঁইয়া

বিলাস যাপন

পদচিহ্ন রেখে গন্তব্যে পৌঁছলে তুমি

রেললাইনে হাতে হাত রেখে বয়ে চলা সঙ্গী

ট্রেন হুঁইসেল দিয়েই স্টেশন জানান দেয়

অথচ তুমি হুঁইসেল না দিয়েই নেমে পড়লে?

স্টেশনের দৌড়ঝাঁপও অদৃশ্য!

হ্যাঁ, তুমি এক ভিআইপি যাত্রী

ঐ কামরায় প্রবেশাধিকার নিষেধ

নিবিড় কামরার উপরিভাগ দেখে দেখে

নয়নের নোনা জলে ভেসে বেড়ায় অনুজরা।

জানি, দেখা দিবে না তুমি, বড্ড ঘুম পাচ্ছে

অঘোর-ঘুম বিলাস যাপন প্রার্থনা।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত