জাহাঙ্গীর হোসেন
শরতের প্রমোদ
প্রকাশ : ০৩ জুন ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
বর্ষার প্রান্ত ছুঁয়ে আসে শরৎ
পেঁজা তুলোর অবয়বে আকাশ আস্তরণ
মেঘের হাসি তার বর্ষার কাঁদানো শেষের লেশ
ছেয়ে যায় যেন মধুময় জীবন। শরৎপাটে ফসলি
শুক্রাণু ওড়ে। সুখকর বারতায় আমোদপট।
পত্রঝড়া গাছ থেকে একেকটি চাঁদ ঝরে।
মেলে ধরে বকফুল গগন শিরীষ, পাখিফুল,
কাশফুল, শেফালীর উল্কা যেন একে একে
নক্ষত্র পতনের ঝরাফুল। মেঘমালাকে না বলে
পসরা সাজিয়েছিল বর্ষার সঙ্গে পাল্লা ধরেই শরৎ
হেয়ালিমনে ডানাঝাপটা দেয়।
রোদপোড়ানো মুটে-মজুর হাল ছাড়ে না ফসলি
ভারের চালতা, জলপাই, করমচা, আমলকী,
জগডুমুরের আহ্লাদ পূজনীয় কোলে দুলে
কাশফুল-শেফালীর মসৃণ ঘ্রাণ।
দীপাবলির উৎসারণে সিঞ্চিত পূজারি,
কপোত-কপোতীর অবধি হৃদটান।
মেঘরাজির কারসাজিতে লজ্জার প্লাবনে
কালপুরুষ-সপ্তর্ষীমণ্ডল মেঘের দুয়ার খুলে
ফাঁকে ফাঁকে হাসে এ সব। বিস্তীর্ণ আকাশ
যেন গায়ের বধূ-কন্যার কষ্টের শিহরণ আনন্দের
প্রবাদ দাহক নক্ষত্রের দাহে ক্ষীপ্ত অম্বর।
দাই হয়ে ফসল গড়ে অবগাঢ় করে আমার শরৎ
এ যেন শরতের অর্কব্রত। শরতের প্রমোদ।