আমি বাঁচিব কতদিন, কতক্ষণ
কে বলিতে পারে?
যিনি সৃষ্টি করিয়াছেন ভালোবেসে
চিনিয়াছি কি তারে?
অন্ন দিয়াছে যেথায় সেথায়
অঙ্গ দিয়াছে শোভায়,
জীবন দিয়াছে চলার জন্য
মজিয়াছি কোন দাবায়?
জমিন দিয়াছে ফসল ফলাতে
অন্ন জোগানে তিনিই ফসল ফলায়,
মানুষের চাহিদায় দিয়াছে জলধারা
ঝরনা, সাগর, নদী নালায়।
গাছ দিয়াছে মানুষের কাজে
সেথায় দিয়াছে বাঁচার নিঃশ্বাস,
কে দিয়াছে কীভাবে বাঁচি
তার প্রতি কতটুকু আছে বিশ্বাস।
সূর্য দিয়াছে দিনের নামে
রাতের আঁধার কাটাতে চাঁদ,
ভালো কর্মের জন্য দয়ায়
দিয়াছে সুন্দর দুটি হাত।
চোখ দিয়াছে দেখার জন্য
কান দিয়াছে শুনতে,
মুখ দিয়াছে খাওয়ার জন্য
আবার কথা বলতে।
নাক দিয়াছে ঘ্রাণ নিতে
বাঁচার মন্ত্র নিঃশ্বাসে,
পা দিয়াছে চলার জন্য
হৃৎপিণ্ডের কাজ বিশ্বাসে।
একি রক্ত দিয়াছে গায়ে
তবে ভিন্ন কেন জাত,
জাতির ভেদাভেদে বিবেক দিয়াছে
সত্য মিথ্যা যাচাই বাছাইয়ে
দিয়াছে কিছুদিন হায়াত।
মৃত্যু দিয়াছে ভীতির জন্য
যেন করি তার ইবাদত,
মহাপুরুষ পাঠিয়েছে যুগে যুগে
ধর্মগ্রন্থে দেখিয়েছে সঠিক পথ।
যৌবন দিয়াছে সবার মাঝেই
সৃষ্টি করিয়াছে নর নারী,
আরামে আয়েশে, দুঃখে কষ্টে
যেন তার শুকরিয়া আদায় করি।
জন্ম মৃত্যু দিয়াছে যেন
ভয়ে তাকে সেজদা করি,
পাপ পুণ্যের বিচারে যেন
ইহকাল পরকাল বিশ্বাস করি।
বিবেকের বিচারে যেন
শয়তানের পথ ছাড়ি,
ঈমান পরীক্ষার মাঠে যেন
অদৃশ্য এক ঈশ্বরের পূজা করি।