রোজ রোজ কেউ ভিক্ষা দেয় না
নিয়ম করে যাই শুক্রবার
আটতলা ভবনের দোতলায়
কলিংবেলে চাপ দিতেই
ভেতর থেকে পরিচয় জানতে চায়।
আমি এক আজন্ম ভিক্ষুক...
আর কোন প্রশ্ন হয় না।
দু’তিন মিনিটের মধ্যেই কোমল সে হাত
যথারীতি ভিক্ষের থালায়
খুচরো কিছু টাকা কিংবা কয়েন রাখে।
সেই হাতখানার দিকে মন্ত্রমুগ্ধ দেখি
আর ভাবি তিনি কি গৃহিণী নাকি বাড়ির মেয়ে?
তার সঙ্গে কথা হয় না কখনও।
সপ্তাহ, মাস, বছর যায়
একদিন নিজের অজান্তেই জানতে চাই
‘আম্মা আপনি এ পরিবারের কে হোন?’
খানিক নিরুত্তর- তারপর দীর্ঘশ্বাস
‘আমি এখানে আশ্রিতা।
হারিয়ে গিয়েছি শৈশবে
তারপর এখানে... আর এখানে।’
নিঃশব্দে দরোজা বন্ধ হয়
চোখজুড়ে লোনাজল
ও কি আমার ছোট্ট শিশু কাজল?
সেও কি আজ এতটা বড় হতো?
মেয়ে আমার, সেই কবে কবরে বেঁধেছে ঘর।