ঢাকা ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

স্নিগ্ধা পয়েন্ট

আরিফ আনজুম
স্নিগ্ধা পয়েন্ট

এই রাত্রি দ্বিপ্রহরে উত্তাল হলো সাগরের ঢেউ

ল্যান্ডফল হবে যে তটভূমে

ঘটাবে বিপর্যয়।

প্রহর গুনছে উপকূলবাসী ঘর ছেড়ে যায় কেউ,

ঘটাবে বন্যা ভাসাবে জীবিকা রাক্ষুসে ওই ঢেউ।

মুছবে ভূগোল হবে ইতিহাস ধনুষ্কডির মতো,

আইলা অশনি ফনি আমফান আরো সাইক্লোন কতো।

সাগরের থেকে জলের স্তম্ভ

ছোটে মহা উল্লাসে,

পাগলা হাতি শুঁড় তুলে যেন

জনপদে ধেয়ে আসে।

করে শনশন, ঘোরে ভনভন

প্রলয় নাচন নাচে,

কোরে চুরমার হয় আগুয়ান

অদূরে কিংবা কাছে।

করে গর্জন আরো সে ভীষণ

বজ্রগর্ভ মেঘে,

বয়ে চলে ঝড়, বৃষ্টির সাথে

সুপার সনিক বেগে।

ভাঙে গাছপালা, বিদ্যুৎ পোস্ট

রেলপথ যায় সরে,

গৃহহারা লোক করে হাহাকার

কত প্রাণ যায় ঝরে।

যে বাতাস বয় স্নিগ্ধ প্রভাতে

ফুলের সুরভী নিয়ে,

তার বর্ণন হয়েছে স্ফুরণ

কবির কলম দিয়ে।

সেই সুশীতল বাতাস যখন

ততোধিক জোরে বয়,

ঝড়ের আকার নিয়ে সে বাতাস

ভীতির কারণ হয়।

প্রখর নিদাঘে তপ্ত বাতাস

আগুন ছড়ায় প্রাণে,

কালবৈশাখী, ঝড় ও বৃষ্টি

প্রাণে শীতলতা আনে।

ধ্বংসের মাঝে সৃষ্টির বীজ

জেনো লুকাইতো আছে,

এ ভীষণ ঝড় তাই চিরদিন

কাম্য সবার কাছে।

বড় জঞ্জাল আবর্জনা বেড়ে গেছে

পোড়া দেশে,

একটা ভীষণ কালবৈশাখী যেন

দেখা দেয় এসে।

দুর্নীতি আর ভ্রষ্টাচার সাঁড়াশির

মতো হয়ে,

কণ্ঠরুদ্ধ মানুষের গলা, গরীব

বাঁচছে ভয়ে।

ঝঞ্ঝার পরে প্রকৃতি যেমন সৌম্য

শান্ত হয়,

একটা ঝড়ের বড় প্রয়োজন

ঘোচাতে অবক্ষয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত