ঢাকা ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সোহেল বীরের গুচ্ছ কবিতা

সোহেল বীরের গুচ্ছ কবিতা

এখনো শরৎ আসে

পেঁজা তুলার মতো উড়ে যাওয়া শরতের মেঘগুলো

তোমাকে ছুঁয়ে দিতো খুব করে,

শরৎ এলেই তোমার হেঁয়ালি মনের আবদারগুলো শুনে ইচ্ছে হতো

অন্তহীন অজানা উদ্দেশ্যে ছুটে চলা মেঘগুলো

মুঠো ভর্তি করে তোমার সারা দেহে ছিটিয়ে দেই।

শরতের আকাশে বাড়ি বানানোর সেই বাসনাটা

খুব করে জেগে উঠতো তোমার গহীনে,

কাঁশ ফুলের ছাউনি আর শিউলির বাসর সাজানোর

তোমার সেই কিশোরী ইচ্ছে আজও আমাকে তাড়া করে ফেরে।

দূরে পালতোলা নৌকার মতো সফেদ সমুদ্রে

ভেসে যাওয়ার ব্যাকুলতা শুনতে আমার ক্লান্তি আসেনি কখনো।

শরৎ এলেই তুমি হয়ে যেতে শরতের শাদা মেঘ-

একদম খণ্ড খণ্ড মেঘ।

প্রাণোচ্ছ্বল মেঘের মতো নীল আকাশে উড়ে বেড়াতে।

সবগুলো শাদার সমাহার ছিলে তুমি

আর তোমার সমাহার হয়ে

প্রচণ্ড জরে শীতলতা খুঁজে ফিরতাম তোমারই বুকে-

অথচ সেই বুকেই গহীন অন্ধকারে আদিমতার সবটুকু উষ্ণতা পেতাম!

শরৎ এলেই উড়ে যাওয়া মেঘগুলো আমায় দেখে যায়,

তুমি দেখা দাওনা কখনো।

শরৎ আসে, তুমি আসো না...

স্পর্শগুলো বিচ্ছিন্ন

উড় ওড়না জড়ানো একটা কিশোরী

বুকে আলতো বই রেখে

মৃদু পায়ে হেঁটে আসে

আমি ওয়ালের কিনার ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকি

দূর থেকে তাকে দেখব বলে

নিষ্পাপ সম্পর্কে মরীচীকা খেলা করে

সেই মায়াবী হাসি, ব্রণাবৃত মুখ

খুব বেশি মনে পড়ে ইদানীং

আমার অদেখা স্বপ্নগুলোয় আজও

তার স্পর্শ লেগে আছে

স্পর্শ লেগে আছে হাতে বোনা

গমের ওই ওয়ালম্যাটটায়ও!

ব্যথা

ইদানীং অপরিচিত একটি ব্যথা

বুকের বাম পাশে হঠাৎ

চিন্চিন্ করে ওঠে

থমকে দাঁড়াই!

এগোতে পারি না আর

শূন্য হৃদয় আরো বেশি

শূন্য হয়ে ওঠে-

তোমার কথা ভাবতেই!

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত