আজ চাঁদটা জানালায় উঁকি দিয়ে দেখছে আমায়
স্মৃতির প্রহেলিকায় কতোটা আর্দ্র আমার দুচোখ,
আমি যখন কেঁদে আকুল তুমি হয়তো রবীন্দ্র বন্দনায় মগ্ন
তুমি ভাবছো রবীন্দ্রনাথ তোমার শুদ্ধ করে দিচ্ছে।
আমি যখন তোমার তুলে দেয়া প্রচণ্ড ঝড়ে লন্ডভন্ড
তুমি তখন দিব্যি আরাম আয়েশ করে গা ঝাড়া দিচ্ছো,
জানি অনুশোচনা তোমায় ছোঁয় না অনুতাপ শতক্রোশ দূরে,
তুমি ভালো করে জানো সামনে এগিয়ে গেলে পেছনে দেখতে নেই।
একদা প্রেম পেতে হাজার কথার জাল বুনেছিলে তুমি
জীবন মরণের সন্ধিক্ষণে দাঁড় করিয়ে সম্মতি নিয়েছিলে,
বুককাঁপে না একটিবার আর্দ্র হয় না ওই নিষ্ঠুর চোখের পাঁপড়ি
বুকের গভীরে ব্যথারা দোল খায় না জানান দিতে পুরনো দিন।
হৃদয়ের দেরাজ ছুঁয়ে একদিন চাঁদ হয়েছিলে মনের আকাশে
বুভুক্ষুর মতো আমার সমস্ত রূপ রস চেটেপুটে নিলে,
অন্তবিহীন বেদনার জালে বেধে ঠেলে দিলে চোরাবালিতে
সমস্তকে কে পেরেছে সম্যক আত্মস্থ করতে জগতের বুকে।
যে ব্যথার পাহাড় বুকে হেটে চলেছি নিরন্তর চুপিচুপি
কোন দিন জানোনি তার গভীরের অন্তর্লীন সত্যটুকুকে
অভিমান কখনো ছোঁয়া যায় না গেলে বুঝতে ক্ষরণ কতোটা
প্রতিটা শিরায় শিরায় বইছে তোমার দেয়া সমস্ত প্রতিদান।