যুদ্ধ ও আগ্রাসনবিরোধী কবিতা
কুদসে
মূল : মাহমুদ দারবিশ
প্রকাশ : ২৫ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আল কুদসে, তার প্রাচীন সীমানার ভেতর স্মৃতিহীন আমি
পরিভ্রমণ করি যুগ-যুগান্তর
আমার বুকে বন্দুক তাক করছো?
অথচ এখানে নবিগণ বিলি করতেন পবিত্রতার ইতিহাস
যাঁরা আকাশ থেকে ফিরেছিলেন বেদনা ও উপেক্ষা সঙ্গী করে
ভালোবাসা আর শান্তি, পবিত্র শব্দদুটির অভিমুখ এই শহরের দিকে;
ঢালু ভূমিতে হাঁটছি, আর আমার ত্রস্ত্র হৃদয় নিশ্চুপ বলছে-
তাওরাতে সুস্পষ্ট বাক্য থাকার পরও বর্ণনাকারীরা মতবিরোধ করল?
কেন মুখ ফসকে ‘অনুজ্জ্বল পাথরের’ বদলে ‘যুদ্ধ’ বলে দিল?
স্বপ্নালোক ভ্রমণ শেষে তীব্র বেগে চোখ খুলে দেখি
সামনে-পেছনে কেউ নেই, কিছু নেই
তাই এখন এই আলো সব আমার। যেখানে আমি হাঁটি আর হালকা হই
এবং উড়ি যে কোনো মুহূর্তে। তারপর প্রকাশ্যে পরিবর্তিত হয়ে যাই।
সদ্য ফোটা গুল্মের মতো ভবিষ্যদ্বাণী,
উদ্গত হয় নবির মুখ থেকে-‘যদি তোমরা ইমান না আন, তবে নিরাপত্তা পাবে না কখনো!’
আমি হাঁটি, যেন আমি ছাড়া অন্যজন, আমার ক্ষত যেন ফুটন্ত গোলাপ
শাদা বাইবেলের মতোন।
হাতগুলো যেন আমার নিষ্পাপ দুটি কবুতর
যারা ক্রুশের অনেক উপরে ওড়ে বহন করে ভূধর।
এখন আমি হাঁটি না, আকাশে উড়ি আর পরিবর্তিত হই।
আমার কোনো সময় নেই এবং নেই কোনো প্রান্তর।
তাহলে আমি কে? আমি ‘আমি না’ যেন অন্য কেউ।
তবে একাকী চিন্তা করি, আমার প্রিয় নবি বলতেন বিশুদ্ধ আরবি।
তারপর, তারপর কী হলো?
একজন সৈন্য চিৎকার দিল,
তুই কি আরেকজন? একটু আগে না তোকে গুলি করে মারলাম!
তাকে আমি বলি, আমাকেই মেরেছ তুমি আমি সব ভুলে যাই,
ঠিক তোমার মতোন। যেন দেখা পাই আবার, শান্ত মৃত্যুর, জনম জনম।
অনুবাদ: ওয়াহিদুর রহমান