ঢাকা ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

আজো বেঁচে আছে

ফেরদাউসী কুঈন
আজো বেঁচে আছে

সদ্য বিকশিত সেই তরুণ যুবকটির জন্য-

যার কন্ঠে ছিল মুগ্ধ করা সুরের ঝর্ণাধারা।

যার জন্য আবেগী ভালোলাগার চঞ্চল হতো যে মেয়েটি;

ডাহুক ডাকা মধ্যদুপুরে বিরানবাড়ির জানালার পাশে

একাকী শুয়ে কবিতার বই পড়তো যে মেয়েটি,

হঠাৎ ভেসে আসা মিহিসুরে মন্ত্রমুগ্ধ হতো যে মেয়েটি,

গোধুলী আলোয় সূর্য দীঘল বাড়ির পূবহাওয়ার

ঢেউদোলানো কাশবন হতে ফুল তুলতো যে মেয়েটি-

ঝোপজঙ্গলে ভরা আধোঅন্ধকারে কাশবনে দেখে;

যার চোখ উদ্বিগ্ন হতে দেখতো যে মেয়েটি,

সুরের ঝংকারে নব আনন্দে -

চাঁদ রাতে হাত রাঙাতো যে মেয়েটি,

চারপাশ ভাসিয়ে সুরের আয়োজনে মধ্য রাতে

ঘুম ভাঙতো, আনন্দআলোয় সুখী হতো যে মেয়েটি;

পথের দিকে তাকিয়ে, জনতার ভীড়ে,

যাকে খুঁজতো যে মেয়েটি

সে..ই.. মেয়েটি, হ্যাঁ সে...ই মেয়েটি’ই

হঠাৎ শুনতে পায় জীবনের সব অয়োজন ফেলে

চাপাতির নিচে গোঙ্গাতে থাকে বিস্ময়ভরা বলিষ্ঠ কণ্ঠ;

পীচকালোপথ নোনারক্তগঙ্গায় ভাসতে থাকে! !

শুদ্ধ জীবনের স্বপ্নেবুদ মেয়েটির চোখের জল শুকায়-

আর সেই তরুণটি ধীরে ধীরে মিশে যায় মাটির গভীরে।

শক্তিমানের কৃপায় ;

স্বপ্নভূক হন্তারক ফিরে পায় খোলা আকাশ।

স্বাধীনতার জন্য -

যৌথজীবনের শুরুতেই যে নারী হারায় স্বামী

আর স্বাধীন দেশে সেই নারী’ই হারায় একমাত্র সন্তান!

আর স্মৃতির ভেতর-

অনন্য স্মৃতি হয়ে তরুণটি বেঁচে আছে;

যার সাথে কখন কথা হয়নি, আদৌ কথা দেখা কথা

হবেনা সেই মেয়েটির মাঝে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত