গুচ্ছ ক বি তা
নুসরাত সুলতানা
প্রকাশ : ০৯ মার্চ ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
সুন্দরবন
এজিএম বসেছে পোঙা মারা একাডেমির
লাল-নীল, হলুদণ্ডবেগুনী রঙে
ঝলসে উঠেছে- হলরুম
একদল আলাপনকারী বলছে-
ওর ঘনিষ্ঠ বান্ধবী বলছিল
এখন নাকি দুই সাইজ বড় অন্তর্বাস প্রয়োজন হয় ওর।
তাতেই তো বুঝেছি পদক পাবেই...
আরেকদল বলছে- তাইলে পুরুষদিগের উপায়!
আহারে! ক্যান রমণী অইলাম না!
পাত্তি কামাও, তেল মারো...
তখন সুন্দরবনে একদল খচ্চর মশকরা
করে বলছে- জানিস দোস্ত ঢাকায়ও
একটা সুন্দরবন আছে।
নিয়ামক
যখনই ভাবি- ফুরিয়ে যাব,
বিলীন হয়ে যাব।
সূর্যোদয়, সূর্যাস্ত, ভরাকাটাল, মরাকাটাল কিছুতেই এই পৃথিবীর বিপুল আয়োজনে কোথাও থাকব না আমি।
আমাকে ঘিরে নৃত্য করে আমার ছায়া।
যখনই কল্পনা করি আমার শবদেহ মিশে যাবে মাটিতে
মানসচোক্ষে দেখি কী পরম আনন্দে পোকা চিবুচ্ছে আমার কলিজা, চোখ, ঠোঁট।
তখনই মনে হয় আমিও তো অবশেষে কোনো
কাজে আসলাম!
অন্তত হলাম কারো ক্ষুধার নিয়ামক।
অন্তর্গত-বহিরাগত
মানুষের অধিকারের কথা বলেছি বলে
সেদিন সদলবলে আমার কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে তারা।
কুকুরকে গালি দিয়েছি বলে;
কিছুক্ষণ ঘেউ ঘেউ করে চলে গেছে দূরে।
নেকড়েকে যেই বলেছিলামণ্ড
রক্তখেকো হিংস্র জানোয়ার!
দুটো নেকড়ে মুচকি হেসে নিজেদের ভেতর
বলাবলি করছিল- হিটলার, মুসোলিনি
মোশতাক, মীরজাফর এগুলো কাদের নাম?
আমি বললাম অইগুলো তোদের জাতভাই।
এক পুরুষ মানুষের চেহারা নিয়ে জন্মেছিল।
একটা টিকটিকি এসে টিকটিক করে বলল
ইসরাইল, ইয়েমেন, ইউক্রেন...
হা হা হা..