ঢাকা ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ধানের নামতা

সিকতা কাজল
ধানের নামতা

বিষণ্ণ সুন্দর ভাতের কাব্য লেখা হয় অক্ষরের সীমাহীন শুদ্ধতায়। হেঁসেলের গরম ধানের ভিতর পড়ে থাকে ক’ফোঁটা লোনা জল।

আমরা একদা হেঁসেলে বসানো সিদ্ধ ধানের ভিতর ডিমসিদ্ধও বসাতাম, ধানের ভিতর কুসুমের হাহাকার।

সাদা ও লাল চালের গল্পগুলো এখন অন্যরকম। যেমন মোটা চাল ও সরুচাল।

মোটা চালে কোটি কোটি মুখ ভেসে থাকে। সরু চালের ভিতর বর্ণিল মুখগুলো

ভাতের নামতা পড়ে সহসা হেসে ওঠে।

অনেককাল হলো মোটা চাল,

সরু চালের বিরতিহীন যুদ্ধ।

সরু চাল ও মোটা চাল

পাশাপাশিই জন্ম নেয়,

কখনও কখনও একই মাটিতে,

অথচণ্ড ওদের দূরত্ব মেপে

নির্ণয় করা যায় না

খিদে ও আভিজাত্যে।

আমরা সরু চালের গল্পগুলো জমা রাখি শিল্পিত অবয়বে কিন্তু মোটা চালগুলো চলে যায় ক্ষুধার্ত মানুষের জীর্ণ শীর্ণ ঘর ও গৃহস্থালিতে।

তখনও ধানের নামতা পড়ি।

যখন চারিদিকে গমের

আবাদী জমি সবুজাভণ্ড

হলদে হয়ে ওঠে।

খিদে পেটে দেখতে থাকি

ধানের ভিতর রোদের নাচন,

বৃষ্টি, বৈশাখের তাণ্ডব।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত