পৃথিবীর পাঠশালায় তোমরা শুয়ে থাকো
দিনের সিলেবাসের মতো। লাল কাপড় জড়িয়ে
ধারণ করো শত-শত বুক।
কপট সময়ের দেয়ালে জেগে
ওঠে প্রজাপতি মন।
বিষন্ন হাওয়ার ঝুল
বারান্দায় কেটে
যায় সহস্র বছর।
শিবনৃত্য করে, পাখিটি বসে থাকে চিরুনী সময়ে।
টহলরত পুলিশ ঘুমের কপাট খুলে ঢুকে পড়ে
দেবতাদের ঘুমঘরে।
তোমরা বোধের সিঁড়ি বেয়ে হাঁটতে থাকো।
টেম্পল, মেরিনা, নদীবাংলা রোড ধরে....
যেখানে মানুষের মুখের কাছে হারিকেন ঝুলে থাকে।
পান খাওয়া মুখে রাঙা সকাল।
বাতাস বন্দি সময় দশদিগন্তে ছড়িয়ে যায়।
ফুলনদেবীর আখড়া কোন-কোন হৃদয়।
রাতের অন্ধকারে এরা জেগে থেকে
নঁকশি জীবন দেখে। তুমি, তোমরা
আল্লাদিত হয়ে ঘুমাও লালটিপ বিছানায়।
অবশেষে, নটরাজ বিন্দু থেকে সিন্ধু হয়,
ঢেউয়ের পর ঢেউয়ের খেলা। ঢেউগুলো
সভ্যতার শরীরে আগুনপাখি হয়ে ওড়ে।
ওড়ার কৌশল ওরা শিখে নিয়েছে বক পাখি
ও ঈগলের কাছে।