অতীত হয় না পতিত ফিরে আসে
মৌসুমি চাষের জমিনে যোগান দিতে,
ফেলে এসেছিলাম স্মৃতি থেকে মুছে
ছায়া হয়ে এসেছে পিছে পিছে।
মরে যায় না পালিয়েও যায় না
ভেসে আসে দক্ষিণা বাতাসে,
তৃষ্ণিত চৈতালি খড়কুটোর শব্দে
উত্তরিয়া হিমবাহের চাদর মুড়িয়ে।
বিদায়ের ঘুঙুর বাজে ভরা যৌবনে
শরীরে চামড়া ঝুলে পড়ে নিচে,
কালো কেশরে সাদা রঙ্গের মিতালী
বেঁচে থাকে স্মৃতি নক্ষত্র হয়ে।
ভালো ছিলো সেকাল বলে চেতনায়
আফসোসে মরে পাঁজরের খুঁটি ধরে,
কেনো এলে হেঁটে এতো দূর চলে?
মনের প্রশ্নে বিক্ষত পথিক।
সূর্যাস্ত আসবে বলে
তুহীন বিশ্বাস
আকাশ নীল অথচ গুমোট;
পাখিদের কলতানে আর্তনাদ,
ভ্যাপসা বাতাসে জীবাণু ভাসে
নিয়মতান্ত্রিক প্রহরগুলো দীর্ঘাঙ্গ।
একটি কম্পিত সূর্যাস্ত আসবে বলে-
বুকের ধুকপুক শব্দধ্বনি দ্বিপ্রহরে;
অপেক্ষার ধ্যানে আঁধারের বীভৎস
ভুলগুলো ছড়িয়ে পড়ে শিরা-উপশিরায়।