ঢাকা ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ইগো

উম্মে হাবিবা হীরা
ইগো

নিজের বড়ত্বের প্রতি একটি অস্বাভাবিক বিশ্বাস। যার সাথে মিশে থাকে অতি অহংকার এবং আত্মকেন্দ্রিক ও স্বার্থপর উচ্চাকাঙ্ক্ষা।‘ইগো’ শব্দটির সাথে আমরা কমবেশি সবাই পরিচিত। কেউ যদি জীবনের যে কোনো কাজে কারো তুলনায় এগিয়ে যায়, সেটা হতে পারে পড়াশোনা পৈতৃক সম্পত্তি, ব্যবসায় বা চাকরিতে তুলনামূলক বেশি সফলতা পাওয়া। এসব ব্যাপারে যদি কারো মনে বিন্দুমাত্র হিংসা জন্ম নেয় তাহলে সাধারণভাবে ধরে নেয়া হয় তার ‘ইগো’ প্রবলেম। এটা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব ব্যক্তি হিসেবে নিজের। নিজের প্রতি অস্বাভাবিক ও অবাস্তব উঁচু ধারণা একজন মানুষের সাফল্য এবং সম্পর্ক সেটা রক্তের বা বাহিরে পুরোপুরি থামিয়ে দিতে পারে।

কারো করো মাঝে বড় হবার সম্ভাবনা থাকে, একটু চেষ্টা করলে অনেক বড় হতে পারবে এটা আত্মবিশ্বাস। যার মাঝে ইগো আছে, সে সত্যিকার বড় হওয়ার আগেই নিজেকে বড় ভাবতে শুরু করে। তার এই ভাবনা তাকে সত্যিকার বড় হওয়ার পথে এগিয়ে যেতে বাধা দেয়। ইগোসম্পন্ন মানুষ তার মিথ্যা অহংকার নিয়ে বসে থাকে, আর অন্যরা তাকে টপকে সত্যিকারের বড় হয়ে ওঠে।

আবার অনেক মানুষ কিছুটা সফলতা পেয়েই নিজেকে অনেক বড় ভাবতে শুরু করে। সে মনে করে তার আর প্রমাণ করার কিছু নেই। এই কারণে তারা সামনে চলা আর পরিশ্রম করা বন্ধ করে দেয়। কিন্তু সে বুঝতেও পারে না যে, এই ভুল ধারনাটি না থাকলে সে আরো অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারত। অথবা বুঝলেও সেই সর্বনাশা ইগোর কারণে ভুল করেও ভুল স্বীকার করতে চায় না। আর ভুল স্বীকার না করলে সেই ভুল শোধরানোও অসম্ভব।

ইগোসম্পন্ন মানুষদের সোজা বাংলায় এরা সব সময় দুই লাইন বেশি বোঝে। নিজের ধারণাকে নিজের মনে পুষিয়ে রাখে। এক সঙ্গে বেড়ে ওঠা, রক্তের সম্পর্কের আপনজন বা প্রিয় মানুষের মধ্যে যখন এই সমস্যা আমি বুঝতে পারি তখন খুব কষ্ট হয়। নির্লজ্জতা একেবারে আমার পছন্দ নয়, নিজের আত্মসম্মান নিয়ে বাঁচতে চাই আমি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত