কান খাড়া খরগোশ, নাক বড় পিঁপড়া,
ধৈর্য ধরে বসা বাঘ, শিকারের অপেক্ষা।
অস্থির শিয়াল মশাই, দেখে তাই বিড়াল,
মাকড়সা ব্যস্ত বুনিতে জাল, পোকা-মাকড়
ফেঁসে গেল সব চালে, ভুলে ভুল চাল।
কাকের কণ্ঠে হঠাৎ কোকিলের গান,
শুনে-শুনে কচ্ছপ বেচারা যে মাতাল,
শান্ত হাতির কাণ্ড দেখে, হনুমান পেরেশান।
সাপ ধরতে বেজি হাজির, তবেই ইঁদুরের
পিছু-পিছু বেঁচে গেল এবারের মতো প্রাণ।
বুড়ো ভাল্লুকের ঘাড়ে ঘুরঘুর করে উল্লুক,
দূর থেকে দেয় আলো মিটমিট জোনাকি।
চিতা দেখে খেলা, দলছুট মহিষয়ে দুর্বল,
সবল সিংহের নিরীহ হরিণকে আক্রমণ,
পালিয়ে শেষে আর বাঁচে না জান!
কুমিরের মুখে বাহ সিংহের আহার।
কঙ্কালটাও হজম একদল হায়নার,
চিল-শকুনের লড়াই হারামের জন্য,
মৌমাছির দ্বায়িত্ব হালাল মধু আহরণ।
ঘোড়া আর উট যুদ্ধে যেতে প্রস্তুত,
টিকটিকির টিকটিক ধোঁকাবাজির ইঙ্গিত,
হিংস্র নয় তবু ছারপোকা-মশা,
রক্ত খেয়ে বাঁচে জোঁক, তাল দেয় মাছি।
অজগর করে সব জ্যান্ত হজম,
জলহস্তী বেশ মস্তিতে, গন্ডার খামোশ,
পাখিদের কোলাহলে ময়ূরের শরম।
কুকুরের পাহারায়, বাদুড়ের মুসকিল,