জাকারিয়া জাহাঙ্গীরের গুচ্ছ কবিতা

প্রকাশ : ২৪ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

ফুটফুটে সুন্দর

কতশত শিল্পী, কবি, রাজনৈতিক নেতা। স্থপতি,

এবং অধ্যাপক। গুণী, উদার এবং মুক্তমনা-

সযতনে আগলে রেখেছি বুকে।

আর তাদের বুকে আগলে রাখা চেতনার প্রশান্তি

পঁচিশের ভয়াল রাত, নৃশংসতা;- আজীবন কাঁদায়।

সময়ে তাদেরই মুখে অট্টহাসি। প্রজন্মের রক্ত প্রান্তর

দিয়েছে ওদের চোখে শান্তি।

ওরা ফুলের রেণুতে দেখে হিংস্র শাবক,

আর লাঠি-পিস্তল, হেলমেটের আড়ালে দেখে ভবিষ্যৎ।

স্বার্থরক্ষার লড়াইয়ে ওরা এক-একজন ফুটফুটে সুন্দর।

অস্কার

মোনালিসার হাসিকে হারাতে চাই-

তাই আমি হেসে যাই; - রক্তগঙ্গায়

মিথ্যার ওপর নোবেল হয় না বলে-

সাতসমুদ্রের ওপারে আমার দাম নাই!

নোবেল না পাই;

এবার আমার অস্কার চাই...

আলোর মিছিল

আমার জন্মদিনের পার্টি সাজিয়ে-

অপেক্ষার প্রহর গুণে অভিমান করে থেকো না

যদি শুনতে পাও মাঝরাস্তায় হারিয়ে গেছি;-

একটুও উতলা হইও না।

ভেবে নিও, অগণিত যুবকের নিখোঁজ সংবাদ আগামীর আলোর মিছিল...

কেকটা বিজয়োল্লাস ভেবে আগাম কেটে নিও।

যদি খবর আসে-

দাবি আদায়ের স্লোগানে; ঝাঁঝরা হয়ে গেছি গুলিতে

মোমবাতিটা উৎসর্গ করে দিও আমি ও আমার

সাথীদের পবিত্র আত্মার দিকে।

লাশটা দরজায় পৌঁছে গেলে একটুও কান্না করো না

বুকে মাথা রেখে দেখো- ওরা কলিজায় একটুও

আঘাত হানতে পারেনি, যেখানে তোমার আশ্রয় এবং বাংলাদেশ।

পারলে একটা নতুন জায়নামাজ

কিনে রেখো

দুই রাকাত নামাজ পড়ে নিও হায়েনার পতন হলে।

বিদায়কালে শেষ চুম্বন এঁকে দিও রক্তগোলাপ ঠোঁটে

আর একটি গোলাপ চারা লাগিয়ে দিও আমার কবরে।

আমি ফুল হয়ে ফের দেখা দেবো-

পাঁপড়িতে খুঁজে পাবে আমার আল্পনা।