একদা এক কিশোর ছিল রুটির দোকানদার
স্কুল পালিয়ে যুদ্ধে গেল, হলো ফৌজি হাবিলদার,
চন্দ্র-সূর্য, গ্রহ-তারা ছাড়ি, নিল সবার ঊর্ধ্বে স্থান
অগ্নিবীণায় ঝংকার তোলে বিষের বাঁশির গান।
তার ধমনীতে ছিল তাণ্ডতা থৈ-থৈ খলখল নাচে রুদ্র
চির-উন্নত বিদ্রোহী বীর, দারিদ্র্যে করে যুদ্ধ,
ঈশ্বর শির উলঙ্ঘীতে দিয়ে ব্রহ্মার বুকে পিরি
স্বর্গ-মর্ত-পাতাল ভাঙিয়া, গড়ে মানবতার সিঁড়ি।
মহাবিশ্বের বিদ্রোহী সে, জয় নব ডঙ্কার
ফুলের জলসায় নীরব হয়ে ভুলে গেল ভাষা তার।
স্তব্ধ-নীরব থেমে গেল সুর, শিশু হয়ে গেল বৃদ্ধ
জীবন খাতায় লিখবো কাব্য তিন পুরুষের যুদ্ধ,
গুলবাগিচার বুলবুলি আসলো না ফিরে আর
একদা যে কিশোর ছিল রুটির দোকানদার।