আমি এক কর্মজীবি নারী
বস বলে- শুধুই কাজে ফাঁকিবাজি।
সারাক্ষণ ফোনে বাচ্চার খোঁজ নেয়া,
বুয়াকে কাজের ফরমায়েশ দেয়া
আর পিওনের কাছে চায়ের অর্ডার দিয়েই সময় শেষ
এরপর মাসের ভেতর চৌদ্দদিন বাচ্চার অসুস্থতা,
মেহমান, নিজের জ্বর-সর্দির ছুটি...
স্বামী বলে- বড় উল্টাও তুমি...
সব কাজ তো কাজের খালা করে।
তুমি বড়জোর অর্ডার দাও।
কিন্তু যেদিন বুয়া রান্না করে সেদিন আমার
নধরকান্তি বরের মুখে রুচি আসে না...
শাশুড়ি মা বলেন- চাকরির দেমাগে বাঁচে না
মনে কয়- মাডিতে পা পড়ে না।
পুত কী আমি বেইচ্চা দিছি যে অত দেমাগ দেকমু!
বরের বন্ধুর হাউজ ওয়াইফ স্ত্রীরা বলে-
ভাবী আপনি কী আর আচার বানাতে জানেন?
ভাইয়ের ভাগ্যে কী ওসব জোটে!
আমার উনি তো চৌদ্দ পদের ব্যঞ্জন ছাড়া মুখেই তোলেন না।
সন্তান বলে- সবার মা ক্লাস পার্টি
প্যারেন্টস মিটিংয়ে যায়, তুমি যাও না।
আমি শুধু রাত-দিন পার করি
আর নিজের দীর্ঘশ্বাস নিজেই গলাধঃকরণ করি।
রাত ১২টায় ক্লান্ত অবসন্ন শরীরকে বলি
চলিস না কেন? কী এমন করেছিস!
শরীর বলে পাঁচটায় জেগেছি এখন রাত বারোটা...
বাসেরও বিরতি আছে তবু আমার নেই...