আজও মনে পড়ে, ভাই-বোন সকলে মিলে
গ্রামে বসবাস করার সেই সোনালি দিনগুলো!
সময়টা ছিল ভীষণ আনন্দের ছড়াছড়ি।
খুব ভোরে কুয়াশায় ভিজে উনুনে চলতো মায়ের রান্না,
ছোট ভাই চাদর মুড়িয়ে অগ্নিতাপে ছ্যাকতো হাত-পা।
ধোঁয়া ওঠা গরম চায়ে ফুলকো রুটি ভিজিয়ে খেতো বাবা।
কি অপরূপ সোনালি স্মৃতি, আহা!
শীতের রাতে ভাপা পিঠা বানিয়ে বড় আপু বলতো
এই নাও, ধোঁয়া ওঠা গরম পিঠা
এখনই খেয়ে শীতকে বনবাসে পাঠিয়ে দাও।
সকালের মিঠে রোদে উঠোনের এক কোণে,
মাধুর পেতে বসতো পরিবারের সবাই।
দুধে ভেজা চিতই পিঠা খাওয়ার পর-
হার কাঁপুনি শীতের রেস ছিল বেশ!
আজও হৃদয়ের দরজায় উঁকি দেয়
হারিয়ে যাওয়া সেই সোনালি স্মৃতির আবেশ!
স্পষ্ট মনে পড়ে, মাঘ মাসের শীতেও বন্ধুরা মিলে
দল বেঁধে পুকুরের পানিতে ঝাপাঝাপি করতাম!
ঠকঠকিয়ে কাঁপন উঠতো দাঁতে দাঁত লেগে।
আওয়াজ শুনে বড় চাচি বলতো,
কে-রে শীতে কাঁপছিস? জলদি রোদের তাপে দাঁড়া।
ইট-পাথরের শহরে সেই আনন্দটা ঠিক হয় না!
স্মৃতির পাতায় শৈশব-কৈশোর খেলা করে বেলা অবেলা।