আমার এই শেষ লেখা তুমি পড়ে নিও।
ভালো যদি লাগে, তবে উত্তর দিও।
কুহেলিকা ঢাকা গহীন রাতে ঝিরঝির করে,
টিনের চালে যখন নীহার ঝরে,
দীপান্বিতা, তখন কেন যেন তোমায় মনে পড়ে ?
হয়তো তুমি আজ কারো ঘরে বসে,
পরম সুখে চুষি পিঠা করছ গরম রসে।
আর, আমার চোখের পানি গুলি পাথর হয়ে খসে।
লুকিয়ে লুকিয়ে যখন বেঁধে ছিলে বাবুই পাখির এই ছোট বাসা,
খেজুর পাতার শিরায় শিরায় লিখেছিলে ছন্দ, দিয়েছিলে আশা।
সুখের পায়রা, বসন্তের কোকিল পেয়ে আমায় করিলা পর !
জোনাকি পোকা ধরে আজো আমি সাজাই তোমার ঘর।
আজ তোমার হাতে গড়া নিশিগন্ধ্যার শাখীতে শাখীতে ফুল হাসে।
প্রণয় ভিখারিনী, পুষ্প পূজারিনী, শুধু তুমি নেই পাশে !
কভু যদি সুযোগ হয় তোমার জীবন স্রোতের ফাঁকে,
ফুলগুলি কেমন আছে?
জানতে চেয়ে একটি চিঠি দিও ডাকে।
কিছু তাজা ফুল ছিঁড়ে পাঠিয়ে দিব তোমার হলুদ খামে।
আর নয়ন জলে দুটি কথা লিখে দিব তার বামে,
‘জানি, সেদিন তোমার চোখের উষ্ণ শিশিরে লেখা ছিল শেষ কবিতা।
পড়তে পারিনি, আমি নিরুপায় ছিলাম, ক্ষমা করে দিও দীপান্বিতা।’
ভালো থেকো হে অপরিচিতা।
ইতি, আমি তোমার হারানো মিতা।