রণরঙ্গিনী দৃপ্তি মাখি কালিকা ভূষন পড়ি
রাঙা পায়ের রক্ত স্পর্শে ভোলানাথ বক্ষে চড়ি।
ত্রিশুল তার ভেঙ্গে করি ছার, জটার রশিতে ধরি
ব্রহ্মা, বিষ্ণু ,মহেশ্বরে দ্রোহের অনলে পুড়ি।
বারি টকবগ উল্কাপি- নর মুন্ডু মালিকা
ত্রিশুলহস্তে অসুর নাশিনী ব্যোম ব্যোম কালিকা।
বিপ্লব আজ উদয় হয়েছে, লক্ষ যুগের রোষ
রক্তসিঁদুর ললাটে পড়েছি, ঘরে নহি আর পোষ।
আজি অগ্নিগিরি ভস্ম করি, ফুঁ দিয়ে নিভাই রৌরব
স্বর্গ, মর্ত্য, পাতাল ফাঁড়ি আতঙ্কে সুত কৌরব।
আর কতকাল দিবা নিশি মুখ রবে ঘোমটায়
শত বঞ্চনা রোষিয়া উঠিছে আয় তবে ছুটে আয়।
মহাকাশজুড়ে ত্রাস উঠিছে, উল্কা পড়িছে খসে
এসিড বৃষ্টি মুহুর্মুহু ধরণী গিয়েছে ধসে।
জাগিয়া উঠো যোষিৎ- বালা যুগ-যুগান্তের কালি
নিপীড়ন সব প্রতিরোধ হবে, অন্যায় হবে বলি।