শহরের বুক চিড়ে ধীরে ধীরে সূর্যের আলো প্রবেশ করছে,
জেগে উঠছে চিরচেনা নগরী।
ইট পাথরের তৈরি বিশাল অট্টালিকার মানুষগুলো অদ্ভুত
নিস্প্রাণ, নির্জীব জীবন যাপন করছে যুগ যুগ ধরে।
তাদের জন্য পাথরের দেয়ালই আভিজাত্য
কৃত্রিম মেকাপ আর মেকি সুখের আড়ালে -
তারা রোজ সত্য ঢাকে,
অর্থ আর স্বার্থের কফিনে রোজ নিজেদের দাফন করে।
এখানে প্রকৃতি বড় অসহায়,
এখানে মাটি নেই, সবুজ নেই, নেই কোন ফুলের সুবাস।
নিকোটিনের ধোঁয়ায় বাড়ছে হাঁপানি রোগী
একটু নিশ্বাসের জন্য ছটফটিয়ে মরে জ্যান্ত মানুষ।
সংস্কৃতির আড়ালে চিরহরণ হয় সতী সীতার
সভ্যতার নামে পুরস্কৃত হয় পাপাচার,
সৃষ্টিকর্তা শুধু দেখেন, হয়তো মুচকি হাসেন।
জগতের শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি আজ নিজেদের ধ্বংসের হাতিয়ার
যাদের তিনি সৃষ্টি করেছিলেন ধরণী সাজাতে,
আজকে তাদের হাতে মারোণাস্ত্র,
শত শতাব্দীর পৃথিবী আজ বৃদ্ধপ্রায়।
মানুষের পাপ ধুয়ে একদিন কালো হবে মিসিসিপি
গঙ্গা হারাবে পবিত্র করার ক্ষমতা,
অশুদ্ধতার আড়ালে অপবিত্র হবে বিশুদ্ধ প্রেম।
এতোকিছুর পরেও একটা ক্ষীণ আলো থেকেই যাবে
হয়তো সৃষ্টিকর্তার দয়া হবে-
হয়তো গাছের পাতা সবুজ হবে,
ভালোবাসার লাল গোলাপ না হলেও চলবে,
যেতে যেতে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য যদি রেখে যেতে পারি-
একটি সুবাসহীন অথচ প্রাণবন্ত
একটি শ্বেত পলাশ।