ঢাকা শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২ বৈশাখ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

কালো রংয়ের ভয়

নুরুন্নাহার মুন্নি
কালো রংয়ের ভয়

নির্জন একটা সরু রাস্তা ধরে হাঁটছে কতগুলো বখাটে যুবক, চোখে মুখে ভয়ংকর মারমুখী স্বরূপ। অনুভব করলাম আমার ঘর লাগোয়া সে রাস্তা। শুয়ে আছি রুমে একা, নির্জন। ওদের পায়ের ধপ ধপ শব্দে ওঠে বসি। ভেতরে ভয় কাজ করছে। পরিবারের লোকজন একটি সামাজিক অনুষ্ঠানের দাওয়াতে। যাওয়ার কথা ছিল আমারও কিংবা যাব ভাবছি। হঠাৎ কলিং বেল বেজে ওঠে। দরজায় দাঁড়িয়ে সুঠাম দেহের অধিকারী আমার প্রাক্তন। ভালোলাগার এক পুরুষ। এক সময় অনেকটা দুর্বলতা কাজ করত, এখন আর করে না। তখন তিনি এড়িয়ে চলেছেন। এখন নিজেই মরিয়া হয়ে উঠেছেন, যখন তার জন্য আমার মনে বিন্দু পরিমাণ ভালোবাসাও অবশিষ্ট নেই। তবুও দরজায় দাঁড়ানো দেখে কৃতজ্ঞতা বোধের খাতিরে সাত পাঁচ না ভেবে ভেতরে ঢুকতে দিলাম। তার সুযোগসন্ধানী চোখ দুটো উন্মাদ হয়ে ওঠে। আমার শরীরের ভাঁজে ভাঁজে তার লোভনীয় দৃষ্টি। এর মাঝেই ওই পায়ের শব্দগুলো আরো সন্নিকটে সজোরে কানে বাজতে থাকে। আমি ভয়ে কুঁকড়ে যাচ্ছিলাম। একটা চরম আতঙ্কে আমাকে সজোড়ে জড়িয়ে ধরে সাহিল।

আমি ওর বুক পাঁজরে মিশে যাই। চোখ বন্ধ করে ভাবতে থাকি আমার ঘরের ভেতর আমি কেন ভয় পাচ্ছি? আমার তো ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই! তবে কি এই মুহূর্তের পরিস্থিতি আমাকে ভীত করছে? ততোক্ষণে সাহিলের উত্তপ্ত শরীর চরমভাবে খাদকে পরিণত। অনুভব করছিলাম আস্তে আস্তে আমি নুয়ে পড়ছি। আমার বিবেকের সাথে আমার শরীর যুদ্ধ করে বিবেক হেরে যাচ্ছে। বাইরের পাতা মাড়ানো ভয়ংকর শব্দগুলো এখন আর ভেতরটা কাঁপাচ্ছে না। হেরে যাওয়ার, নিজের আব্রু হারানোর ভয়টা চেপে ধরছে। সাহিল অত্যন্ত ভদ্র একটি ছেলে জানতাম; কিন্তু এই নির্জনতা কি ওকে বিবেকহীন উন্মাদ করে তুলেছে? আর এই সময়ই বা কেন এখানে? শুকনো পাতা মোচড়ানো দেহের মতো কুকড়ে যাওয়া আমার শরীর সাহিলের হাতের মুঠোয়। আবেগে দৃষ্টিহীন আমি। যুবকদের দৌড়ানোর শব্দ সন্নিকটে। আবার কানে বাজতে থাকে। দৃষ্টি খুলে আশ্চর্য আমি। আমার অর্ধনগ্ন শরীর। দেখলাম এক বন্ধ বিদ্যালয়ের কোন একশ্রেণি কক্ষে আমরা। সাহিল আমাকে মুখ চেপে জড়িয়ে ধরে আছে। বাইরে নির্জনতা প্রকট হতে হতে ভেতরে ঢুকে পড়ে বেশ কজন যুবক। হাতে ধারালো অস্ত্রের মহড়া। ছাত্রবিহীন একশ্রেণি কক্ষে প্রশান্তির ঘুম ঘুমোচ্ছেন এক শিক্ষিকা। তাকে দেখে ও কোন অভিব্যক্তি প্রকাশ করল না। কী একটা খুঁজে বেড়াচ্ছে। তবে কি আমাকে বা আমাদের? কিংবা সাহিলকে?

আমার ভয় আরো প্রকট হতে থাকে। আত্মগ্লানি ভীষণভাবে মস্তিষ্কে চেপে বসে। নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে নেই দ্রুত। হালকা করে দেই সাহিলের পাঁজর। সাহিল আবারো আমাকে টেনে নেয়। আমার নাক মুখ চেপে ধরে বলে চুপ করে থাকো। ওর চোখে মুখে মৃত্যুভয় স্পষ্ট। গোধূলীর সূর্যের মতো লাল টকটকে আবরণ। খানিকটা ঘাবড়ে গেলাম। কিছুক্ষণ পর ধূলোমাটি উড়া সন্ত্রাসী ঝড় থেমে গেল। শুরু হলো প্রকৃতির ঝড়। ততোক্ষণে সাহিলকে দরজা খুলে দিলাম। বাতাসে উড়ে আসা পলাশের মতো বেগতিক দিশায় যেন ঘরে ঢুকেছিল আবার হয়তো গাছে গিয়ে বসার তাড়া। কিছু জানার ছিল; কিন্তু কিছুই যেন জানানোর ছিল না ওর। ঘরের দরজা বন্ধ করে পেছনে তাকিয়ে দেখি আমি আমার নিজ ঘরেই আছি। অদ্ভূতভাবে যে শিক্ষিকা একা শ্রেণিকক্ষে ঘুমাচ্ছিলেন তিনি তখনও ঘুমাচ্ছেন। এখন সে দৃশ্যপটই নেই। নেই শ্রেণিকক্ষের নির্জনতা। আমিও বেশ স্বাভাবিক। ড্রেসআপ যেমন ছিল ঠিক তেমনই আছে। প্রচণ্ড ঝড়ে বিদ্যুৎ চলে গেল। দুটো মোমবাতি ঘরের দুপ্রান্তে জ্বালিয়ে দিলাম। হঠাৎ ঝোড় বাতাসে দুটো মোমই ধপ করে নিভে গেল। জানালার ফাঁক দিয়ে ধেয়ে আসা বাতাসের শব্দ কী ভয়ংকর! মনে হচ্ছে কতোগুলো বিষাক্ত সাপ ভেতরে প্রবেশ করার জন্য নিঃশ্বাস ঢেলে দিচ্ছে। অসহ্য! দৌড়ে গিয়ে মেইন দরজা খুলে দিলাম। দেখি সাহিল দাঁড়িয়ে দরজায়। বইরে কোন ঝড় নেই। বৈদ্যুতিক আলোয় পুরো রাস্তা, বাড়ি জ্বলজ্বল করছে। সাহিল তুমি এখনও যাওনি? মানে? কিসব বলছ? আমিতো মাত্র এলাম। আর কলিং বেলও তো দেইনি। তখনই মনে হলো হ্যাঁ সত্যিই তো কলিং বেল তো বাজেনি! আমি নিজেই তো দরজা খুলেছি। তোমাকে কি কেউ তাড়া করেছে? আর তুমি তো লাল টি-শার্ট পড়া ছিলে হঠাৎ হলুদ পড়লে কেমন করে? সাহিল অবাক হয়ে আমাকে দেখছে। কী হয়েছে তোমার?

কী অদ্ভূত কথাবার্তা বলে যাচ্ছ? আমি তো তোমাকে নিমন্ত্রণে নিয়ে যেতে এসেছি। রেডিও হওনি এখনো। আর ভেতরটা এতো অন্ধকার কেন? লাইট অন করছোনা কেন? কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। মস্তিষ্ক শুধুই পেছনের রিলস স্ক্রল করে যাচ্ছিল। না বুঝেই সাহিলকে অপেক্ষা করালাম বাইরে। রেডি হয়ে বেরিয়ে গেলাম কিন্তু পেছনে ঘুরছে কালো রংয়ের ভয়। নিমন্ত্রণ বাড়িতে শুধু লাল অলোকসজ্জা দেখে অবাক হলাম! কি অন্ধকার আর কালচে লাগছে! মানুষের মুখগুলোও বিশ্রী রকমের কালো। আমার ড্রেসের রং এমনকি পার্সের রং ও বদলে গেছে। রিকশা ভাড়া দিতে গিয়ে লাল আলোর প্রতিফলনে টাকার অংকটা ঠিকটাক দেখা যাচ্ছিল না।

সাহিল প্রশ্ন করল কী হয়েছে তোমার? ভাড়া দিতে এতো সময় নিচ্ছ! আমিই দেই বরং। আরে নাহ! দেখোনা এই লাল আলোয় ঠিক করে দেখতেই পাচ্ছি না। তোমার মাথাটা কি গেছে! তখন থেকে কী অদ্ভুত আচরণ করছো। লাল আলো আসবে কোত্থেকে। হলুদ সাদা আলোর কম্বিনেশনে কী চমৎকারভাবে আলোকিত চারপাশ। দ্যাখো ভালো করে। আমাকে নিয়ে সাহিলের চোখে মুখে বেশ বিরক্তি। বুঝতে পারছি কিন্তু তবুও আমার নিজের চোখকে কি করে অবিশ্বাস করি? আমি এখনো লাল আলোতে হাঁটছি। ফ্লোরে কার্পেট বিছানো, সেটাও লাল রংয়ের। এতো লাল আলোর রিফ্লেকশনে ভেতরে ঢোকার ইচ্ছেটা নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। সাহিল এক প্রকার টেনেটুনে ভেতরে নিয়ে গিয়ে টেবিলে বসালো। পাশের টেবিলেই আম্মা, আব্বা আর ছোট ভাই খাচ্ছে। এসেছেন অনেক্ষণ হলো। খাওয়া দাওয়া প্রায় শেষ। পাশের টেবিল থেকে লক্ষ্য করলাম আম্মার হাতে গ্লাস ভর্তি টকটকে লাল রক্ত।

আম্মা একটু একটু করে রক্ত পান করছে। দৌড়ে গিয়ে আম্মার হাতের গ্লাসটি ফেলে দেই। তৎক্ষণাৎ ক্যামেরার ফ্ল্যাশ লাইট আমার দিকে। অগণিত জোড়া ক্যামেরা তাকিয়ে আছে আর আমাকে উন্মাদ বলে বিদ্রুপের দৃষ্টি নিক্ষেপ করছে। আম্মা টেনে পাশের চেয়ারে বসালেন। চুপ করে বস এখানে। কি হয়েছে তোর? আমার কিছু হয়নি। তোমার কি হয়েছে? মেজো ভাইকে খুন করে এসে এখানে তুমি খাবার খেতে পারছ কি করে? তোমার চোখে মুখে কোন অনুতাপ অনুশোচনা ও নেই! অদ্ভূত আম্মা! আমি তো এখনো ভুলতে পারছি না গতকাল দুপুরের সে ঘটনা। মানলাম ভাইজান প্রতিদিনের চেয়ে পাগলামি একটু বেশি করছিল। তাই বলে হাতের শিলনোড়া দিয়ে আঘাত করে মেরেই ফেলবে? মেরেছ তো মেরেছো, পুলিশি ঝামেলা থেকে রেহাই পেতে ভাইজানকে কয়েক টুকরা করে টেংকিতে ফেললে! তখন তোমার চোখে সন্তানের জন্য মমতা নয় নিজেকে বাঁচানোর জন্য তীব্র ভয়ের তাড়না দেখেছি আমি। কী নির্মম! এতো রক্তের স্রোতধারায় তুমি আমার হাত পাও ভিজালে। লোকচক্ষুর আড়াল করলেও তুমি কি এ ঘটনা ভুলে গেছ? পরিবার আর সমাজকে তুমি মনগড়া কাহিনি বলে বেড়ালেও তুমি নিজেকে ক্ষমা করতে পারবে তো! এই রক্তের স্রোতে দেখে কলপাড়ের অলকানন্দ গাছের ফুলগুলো সব লাল হয়ে গেছে আম্মা। কল থেকে স্বচ্ছ পানির পরিবর্তে রক্ত পানি পড়ছে। এ পানি তোমার গলা দিয়ে নামছে কী করে! আম্মার চোখ মুখের প্রকাশভঙ্গী বলে দিচ্ছে ওখানেই আমাকে গলা টিপে ধরবেন। মেজো ভাইয়ের রক্তমাখা শরীর, সাহিলের অযাচিত অস্বাভাবিক পৌরষত্বের প্রভাব এবং আম্মার অচেনা আচরনে আমি রীতিমত স্তব্দ। খাবার ছুঁতে পারছি না। আমার আত্মচিৎকার প্রতিধ্বনিত হয়ে আমার মস্তিষ্কে ফিরে আসছে। মাথার পেছন দিকটা প্রচণ্ড ব্যথা করছে। অনেক করে বোঝা না হলো আমাকে। বাড়ি ফেরার যেনো কোন তাড়া নেই। নিমন্ত্রণ বাড়ি প্রায় অতিথি শূন্য। রাত বাড়তে থাকে। অপেক্ষা করে ক্লান্ত সাহিল টেবিলের এক কোনে বসে ঝিমুচ্ছে। জানি না, কেন যেন ওকে ডাকতে ইচ্ছে করছে না। রাত কিন্তু গভীর হতে থাকে। আবারো হাঁটছি একই পথ ধরে। প্রতিদিনের চেনা পথ তবুও তাড়া করা অন্ধাকার সাথে নিয়ে হেঁটে চলেছি একা।

রাস্তার দুধারে মেহগনির ডালে বসে কোড়া পাখি ডাকছে। নিশুতি নির্জন ঘন জঙ্গলের ভেতর ঢুকে পড়ি। কোথা থেকে শুরু কোথায় শেষ কিছুই বুঝতে পারছি না। গভীর রাতে পা পড়ার শব্দেও শরীর শিউরে উঠে! পেছনে ছায়াশরীর হাঁটছে নাকি বুনো বাতাস! নাহ্ পেছনে তাকাবো না! আমাকে বাড়ি অবধি যেতে হবে। তখন সাহিলকে ডাকলাম না, এখন তো ভয়ে থরথর। গলা শুকিয়ে আসছে। নিঃশব্দ জঙ্গল। হঠাৎ ডেকে উঠলো এক টিকটিকি। চেচিয়ে উঠলাম। বাজে চিন্তাগুলো মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। আমার চেঁচানোর শব্দে সমস্ত জঙ্গলের ঘুম ভেঙে গেল। বইতে শুরু করল শীতল বাতাস। শরীরের লোমগুলো হাতে চেপেও মিলাতে পারছি না শরীরে। ওরাও ভয়ে জেগে। হঠাৎ চোখে পড়ল একটু এগুলোই আলোকজ্জ্বল গোলাকার একটি জায়গা।

মনে হচ্ছে কেউ একজন চাঁদের জ্যোৎস্নাটা ফোকাস লাইটের মতো ঐ জায়গাতেই ধরে আছে। হঠাৎ হঠাৎ টিকটিকি ডেকে উঠছে। আর আমার হৃৎপিণ্ড কেঁপে উঠছে। বুঝতে পারছি পেছনে তাড়া করছে কিছু। পেছনে তাকালেই ঐ ভয়টা আমাকে গিলে নেবে। যে কোন মূল্যে ওখানে আমাকে পৌঁছাতে হবেই। চলছি তো চলছি। পথ ফুরোয় না। এ কেমন দীর্ঘ পথের মারপ্যাঁচে ছুটে চলেছি। চৈত্রের দুপুরে উত্তপ্ত রোদ খেয়ে যেমন গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে যায়, তেমনি ভয় খেতে খেতে আলজিব পর্যন্ত শুকিয়ে বাইরে বেরিয়ে পড়ার অবস্থা। কে যেনো চেঁচিয়ে উঠলো, এবার থাম। দাড়া! আমি নিঃশব্দে দাঁড়িয়ে গেলাম। তাকিয়ে দেখি আমি ঐ আলোর নিচে। ফোকাস লাইটের নিচে। গোল বৃত্তটুকুই খই ফোটা সাদা আলো। আমি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি বৃত্তের বাহিরটুকু অন্ধ, আলোহীন। আমার সমস্ত শরীর সাদা আলোয় জ্বলজ্বল করছে। মাঠের বালি পর্যন্ত উজ্জ্বলতা ছড়াচ্ছে; কিন্তু আমার দুহাতের একাংশ ধরে রেখেছে অন্ধকার। ছায়ার আড়ালে কেউ একজন। জীবনের করা দুটো অন্যায় বার বার কৈফিয়ত চাইছে আমার কাছে। আমাকে শক্ত হাতে ধরে আছে। তবুও ঘাড় ফিরিয়ে চারপাশের আলো শুষে নিচ্ছি। হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার মতো একপাশ অন্ধকারে ঢেকে গেল। আমার হাত জড়িয়ে ধরা অন্ধকার আরো সজোরে ধরে তার জ্ঞান প্রদান করে যাচ্ছে। হঠাৎ পেছন থেকে ছুঁটে আসা একটি কালো কুকুর আমার দুহাতের কব্জি কামড়ে পালিয়ে যায়। মনে হলো আলোকিত জায়গার কিছু অংশ হঠাৎ কালো কুকুর হয়ে ওঠে আমার হাত দুটোকে খাবারে পরিণত করে। হাত দুটো ধরে থাকা সেই জ্ঞানী অন্ধকার আমায় ছেড়ে দেয় কুকুরের হাতে। হাতের প্রচণ্ড ব্যথায় আমি মাটিতে লুটিয়ে পড়ি। জ্ঞানশূন্য আমি তখন একা অন্ধ আর আলোর ভাগাভাগিতে। যখন চোখ খুলি তখন আমি আমার ঘরের বিছানায়। খুঁজে বেড়াচ্ছি অন্ধকার, আলো আর আমার ক্ষতবিক্ষত হাত দুটো। হঠাৎ টেলিভিশনের শব্দ কানে ভেসে আসে। অমুক শহরে মায়ের হাতে মানসিক রোগী ছেলে খুন! কুকুরের কামড়ে ছিন্ন ভিন্ন এক যুবতীর অর্ধশরীর। আমার ইন্দ্রিয় অচল হয়ে আসে। নিমগ্ন ভোরের স্নিগ্ধ বাতাসেও আমিত্ব হারিয়ে খুঁজতে থাকি অন্ধকারের বুকে জেগে ওঠা আলোর চর।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত