একাত্তরে স্বাধীনতা যুদ্ধ ও অনেক আত্মত্যাগে অর্জিত বিজয়ে
পাকিস্তানি হানাদার মুক্ত হয়েছে প্রিয় জন্মভূমি।
বিশ্বমাঝে এরূপ নেইকো কোথাও নদী বিধৌত পললে গড়া,
শস্য শ্যামলে ভরা বাংলা মায়ের উর্বর জমি।
এ মাটিতে আছে ফসলের খাদ্য-পুষ্টি, জৈব জ্বালানি গ্যাস-কয়লা,
মূল্যবান খনিজ আর জীবন ধারণের সুপেয় জল।
তাই তো, বাংলার মাটি তুমি সম্পদে ভরা, সম্ভাবনায় উজ্জ্বল,
বরেণ্য মানুষের লীলাভূমি দেশের প্রকৃত সম্বল।
কিন্তু হায়! অপরিকল্পিত নগরায়ণ, শিল্প বর্জ্য দূষণ,
রাসায়নিকের যথেচ্ছ ব্যবহার করছে মাটি মায়ের স্বাস্থ্যহানি।
পণ করি সবে মৃত্তিকা সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করে
নিবিড় কৃষি কাজে নিবেদিত করব জীবন খানি।
জলবায়ু পরিবর্তনের ধাক্কা, অতিমারি করোনা ভাইরাসের নিষ্ঠুরতা,
ধ্বংস যুদ্ধের অমানিবকতা করছে মানব জীবন বিপন্ন।
কৃষিপ্রধান বাংলাদেশ ফসলের ভান্ডার গড়ে
জোগাবে খাদ্য বিশ্ব মাঝে যারা আছে ভুখা-নিরন্ন।
মত-পথের ভিন্নতা, দৃষ্টিভঙ্গীর বৈচিত্র্যতা, চিরকালীন বাস্তবতা
কিন্তু যেথা থাকে স্বচ্ছ প্রতিযোগিতা সেথা সমাজ হয় প্রগতিশীল।
শত্রুভাবাপন্নতা, দলীয় সংকীর্ণতা, জঙ্গিবাদী তৎপরতা
লালন করে যত বিপদগ্রস্থ প্রতিক্রিয়াশীল।
চেতনার অন্ধত্ব, মোহগ্রস্থতা ছাড়ি প্রগতির পথে চলি যথাযথ জ্ঞানের আলো জ্বালি
যেথা নবপ্রজন্ম হয় দক্ষ, আধুনিক ও প্রতিশ্রুতিশীল।
স্বাধীনতা এনেছি, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি, উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি
নই তো আর ভিনদেশি করুণার উপর নির্ভরশীল।
প্রিয় বাংলাদেশে বিজয়ের সুবর্ণ জয়ন্তীর পথ বেয়ে
লাল-সবুজের পতাকা যথাযোগ্য মর্যাদায় ওড়ে।
স্বাধীন মাতৃভূমি, স্বাবলম্বী দেশ তাই বীর বাঙালি
মহান সৃষ্টিকর্তা ব্যতীত আর কাউকেই নাহি ডরে।