এই মুহূর্তে পৃথিবীর শক্তিশালী যে ক’টি যুদ্ধ বিমান রয়েছে তন্মধ্যে রাশিয়ার তৈরি ‘সুখোই সু-৩৫ ফ্ল্যাঙ্কার’ অন্যতম। আগামী তিন মাসের মধ্যে রাশিয়ার কাছ থেকে অত্যাধুনিক এ যুদ্ধবিমান পাচ্ছে ইরান। এ ব্যাপারে রাশিয়ার সঙ্গে একটি চুক্তি হয়েছে বলে ২২ ফেব্রুয়ারি ইরান সরকারের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক কমিটির প্রধান শাহরিয়ার হায়দারি জানিয়েছেন। তিনি আরো জানিয়েছেন, এসইউ-৩৫ যুদ্ধবিমান ছাড়াও রাশিয়ার কাছ থেকে অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা এবং অন্যান্য অত্যাধুনিক যুদ্ধাস্ত্র ক্রয় করছে ইরান। খবরে প্রকাশ, ‘ঈগল ৪৪’ নামে ইরানের ভূগর্ভস্থ’ একটি নতুন বিমানঘাঁটিতে রাশিয়ার তৈরি অত্যাধুনিক এই যুদ্ধবিমান রাখা হতে পারে। এই গত ২৫ ফেব্রুয়ারি একটি চটকদার ভিডিও প্রকাশ করেছে তেহরান। এর পরই এ নিয়ে শুরু হয়েছে পশ্চিমা মিডিয়ায়া নানা বিশ্লেষণ। ঘুম হারাম হয়ে গেছে আমেরিকা ও ইসরাইলের। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কিরবি গত ২৮ ফেব্রুয়ারি এক সংবাদ সম্মেলনে মস্কো-তেহরানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এবং ‘সুখোই সু-৩৫ ফ্ল্যাঙ্কার’ যুদ্ধ বিমান তেহরানের কাছে হস্তান্তরকে ‘বিপজ্জনক’ পদক্ষেপ বলে অভিহিত করেছেন। কয়েক দশকের মধ্যে এটি হবে ইরানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধবিমান বহরের বড় অগ্রগতি। উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে রাশিয়া ও ইরানের মধ্যে সহযোগিতা ক্রমশই বাড়ছে। ইউক্রেনে হামলা শুরুর পর থেকে ইরানের কাছ থেকেও সহযোগিতা নিচ্ছে মস্কো।
ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরাইল তার অস্তিত্বের জন্য বরাবরই ইরানকে প্রধান হুমকি হিসেবে বিবেচনা করে থাকে। ইসরাইল বারবার বলে আসছে, সে ইরানকে কোনোভাবে পরমাণু অস্ত্রের অধিকারী হতে দেবে না। ইরান তো ইসরাইলের অস্তিত্বই স্বীকার করে না। ১৯৭৯ খ্রিষ্টাব্দে আয়াতুল্লাহ খোমেনির নেতৃত্বে ইসলামি বিপ্লবের পর ফ্রান্স থেকে ফিরে এসেই ইরানের ইসরাইলি দূতাবাসকে প্যালেস্টাইন দূতাবাস ঘোষণা করেছিলেন। খোমেনির মতো ইরানি নেতারা মাঝেমধ্যে ইসরাইলের অস্তিত্ব মুছে ফেলার হুমকিও দিয়ে থাকেন। বিগত চার দশক ধরে এভাবে হুমকি-পাল্টা হুমকি চলে আসছে চিরবৈরী এই দুই দেশের মধ্যে।
ইরান ও ইসরাইল দীর্ঘদিন ধরে ঠান্ডা যুদ্ধে লিপ্ত রয়েছে। আর এ যুদ্ধের মধ্যে ইরানের সামরিক এবং পারমাণবিক স্থাপনায় গোপন হামলাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এর আগে ২০২১ সালের এপ্রিলে ইরান তার ভূগর্ভস্থ নাতাঞ্জ পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলার জন্য ইসরাইলকে দোষারোপ করেছিল। ওই হামলায় ইরানি এই পারমাণবিক স্থাপনার সেন্ট্রিফিউজগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সর্বশেষ গত ২৯ জানুয়ারি ২০২৩ রাতে অনেকগুলো অজ্ঞাতনামা ড্রোন ইরানের বিভিন্ন সামরিক শিল্প স্থাপনায় হামলার পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে ইরান-ইসরাইল দ্বন্দ্ব আবার চরমে পৌঁছে। ইরানের অভিযোগ, দেশের অভ্যন্তরে চর নিয়োগ দিয়ে তাদের সামরিক স্থাপনায় মনুষ্যবিহীন যান- ইউএভি ড্রোন থেকে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরাইল ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
তেহরানের পারমাণবিক তৎপরতা ও ইউক্রেইনের যুদ্ধে রাশিয়ায় দীর্ঘ পাল্লার ‘আত্মঘাতী ড্রোনসহ’ অস্ত্র পাঠানো নিয়ে পশ্চিমা শক্তিগুলোর সঙ্গে ইরানের উত্তেজনা চলার পাশাপাশি দেশের ভেতরে কয়েক মাস ধরে চলা সরকারবিরোধী বিক্ষোভের মধ্যে এ ড্রোন হামলার ঘটনাটি ঘটেছে। গত ২৯ ডিসেম্বর ২০২২ ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ক্ষমতায় ফিরে এসেছেন এবং সঙ্গে নিয়ে এসেছেন তার দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে কট্টর ডানপন্থি সরকার। এমন সময় ইরানে হওয়া হামলার পেছনে সত্যি সত্যি ইসরাইলের হাত থাকলে তা হবে নেতানিয়াহুর নতুন মেয়াদে চালানো এ ধরনের প্রথম হামলা। ইরানকে কখনো পরমাণু অস্ত্র অর্জন করতে না দেয়ার নেতানিয়াহুর অঙ্গীকার অনেক পুরোনো এবং সেই অঙ্গীকার থেকে সরে না আসার কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন গত ২৯ ডিসেম্বর শপথ গ্রহণের পর নেসেটে (পার্লামেন্টে) দেয়া বক্তব্যে।
সমর বিশ্লেষকদের মতে, ইরানের সামরিক কৌশল বরাবরই বিস্ময়ে ভরা। সামরিক বিবেচনায় ইরান ব্যতিক্রমী দেশ। গত ৪০ বছর সামরিক সামর্থ্য বাড়িয়েছে নানান অনানুষ্ঠানিক পথে। ইরান নিজস্ব প্রযুক্তিতে প্রায় সব ধরনের অত্যাধুনিক অস্ত্রে সক্ষম।
বলা হয়ে থাকে, ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতা ইরানের সামরিক শক্তির মূল স্তম্ভ। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগের মতে, দেশটির ক্ষেপণাস্ত্র শক্তি মধ্যপ্রাচ্যে সবচেয়ে বড়। ইরানের স্বল্প বা মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের আওতায় আছে পুরো ইসরাইল। শাহাব, আশুরা, কাদের, সিজ্জিল- এসব ক্ষেপণাস্ত্র এক হাজার থেকে তিন হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে গিয়ে আঘাত হানতে পারে। মিশকাত নামের ইরানি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের দৌড় দুই হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত। ২০২১ সালের আগস্ট মাসে ইরান ফতেহ-১১০ এবং কিয়ামণ্ড১ নামের যে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছিল তাতে ঘনীভূত জ্বালানি ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে এইসব ক্ষেপণাস্ত্র হয়েছে আরো নিখুঁত, দ্রুত গতিসম্পন্ন এবং উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন। নানা ধরনের ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করছেন ইরানি বিশেষজ্ঞরা। ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য অত্যন্ত নিখুঁত ক্ষেপণাস্ত্রের প্রযুক্তি আয়ত্ত করেছে ইরান। বিশ্বের অল্প কয়েকটি দেশের কাছে এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি রয়েছে। মহাশূন্য ও রাডার প্রযুক্তি যুক্ত হওয়ায় ইরানের এ শিল্প অগ্রগতির শীর্ষ পর্যায়ে উঠে এসেছে। ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসির প্রধান কমান্ডার মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি গত ১ মার্চ সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, তার বাহিনীর বিশেষজ্ঞরা শব্দের চেয়েও দ্রুত গতি সম্পন্ন সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তাছাড়া ইরান আক্রান্ত হলে তার নিজস্ব বাহিনীর পাশাপাশি লেবাননের হিজবুল্লাহ, সিরিয়া ও ইরাকের শিয়া মিলিশিয়া, ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহী এবং গাজা উপত্যকার হামাসের মতো সহযোগী গোষ্ঠীগুলোকেও ব্যবহার করবে। এসব গোষ্ঠীর কাছে হাজার হাজার রকেট, ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইরান একপ্রকার ঘেরাও করে রেখেছে ইসরায়েলকে।
এ সত্ত্বেও ইসরাইল ইরানের সামরিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়ার ঘোষণা কেন বারবার দেয়- তার কারণ বিশ্লেষণ করে জানা যায়, আমেরিকাণ্ডইসরাইলের ধারণা মতে, ইরানের বিমান বাহিনী অনেক পুরোনো ও সেকেলে। সুতরাং, ইসরাইল অতির্কিত বিমান হামলা চালিয়ে ইরানের পরমাণু স্থাপনা ধ্বংস করে দিতে পারে বিনা বাধায়। এরকম হামলার পর পাল্টা আঘাত হিসেবে ইরান কেবল মিসাইল নিক্ষেপ ছাড়া তেমন কিছু করতে পারবে না। ইসরাইল তার পুরো সীমানা আয়রন ডোমসহ এন্টি প্লাস্টিক মিসাইল দিয়ে সুরক্ষিত এবং শত্রুর যেকোন মিসাইল/ক্ষেপণাস্ত্র আকাশেই ধ্বংস করতে সক্ষম দাবি করলেও একই সময়ে একাধিক ফ্রন্টে যুদ্ধ পরিচালনা এবং প্রতিরোধ ব্যূহ গড়ে তোলা আদৌ সম্ভব কিনা সেই সন্দেহ জোরালো করে তুলেছে হামাসের শতভাগ রকেট হামলা ঠেকাতে ব্যর্থতার পর।
বলার অপেক্ষা রাখে না, ইসরাইলের বিমানবাহিনী শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী। আমেরিকা কিংবা আমেরিকাণ্ডইসরাইল যৌথ নির্মিত এফ-১৬, এফ-১৫ইএক্স, লকহিড মার্টিন এফ-৩৫বি এবং এফ-৩৫সি এর মতো সর্বাধুনিক শক্তিশালী বিমান থাকলেও এগুলোর মোকাবিলায় ইরানের বিমান বাহিনী অনেক দুর্বল। সমর বিশ্লেষকদের মতে, রাশিয়ার তৈরি ‘সুখোই সু-৩৫ ফ্ল্যাঙ্কার’ ইরানের বিমান বাহিনীতে যুক্ত হলে ইরান-ইসরাইল আকাশ শক্তির ভারসাম্য অনেকটা ঘুচিয়ে যাবে। খবরে প্রকাশ, পঞ্চম প্রজন্মের চিনা ফাইটিং জেট চেংডু জে-২০ সংগ্রহের জন্য এরই মধ্যে ইরান চীনের সঙ্গে কথাবার্তা চূড়ান্ত করে ফেলেছে। রাশিয়ান বিমান বাহিনীর ‘সুখোই সু-৩৫’ এবং চীনা বিমান বাহিনীর গর্বের ধন চেংডু জে-২০ সংগ্রহ করতে পারলে ইরান ইসরাইলের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে পারবে অনায়াসে। ২০১৭ সালে সিরিয়ায় ‘সুখোই সু-৩৫ ফ্ল্যাঙ্কার’ যুদ্ধ বিমানের ধ্বংসলীলা প্রথমবারের মতো বিশ্ববাসী অবাক বিস্ময়ে অবলোকন করেছে। এই বিমান এখনো ইউক্রেনে ব্যবহার করেনি রাশিয়া। রুশ প্রযুক্তিতে গড়ে তোলা ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও যথেষ্ট দক্ষ। ইরানের বিমান বাহিনী অনেক পুরোনো বিমানে সজ্জিত হলেও এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম অনেক শক্তিশালী। এক সময় ইরানের রাডার নেটওয়ার্ক সিস্টেম যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েলের কোনো যুদ্ধবিমান শনাক্ত এবং অনুসরনে সক্ষম ছিলো না। যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েলসহ বিভিন্ন দেশের ড্রোন বিমান ইরানের অভ্যন্তরে অহরহ প্রবশে করত এবং দীর্ঘ সময় অবস্থান করতে পারত। ইরান এগুলো শনাক্ত করতে পারত না। আফগানিস্তান এবং ইরাক অভিযানের সময় যুক্তরাষ্ট্রের অনেক যুদ্ধবিমান ইরানের আকাশে দীর্ঘ সময় অবস্থান করত বিনা বাধায়। ইরানের সেদিন এখন আর নেই। ইরানের কাছে বর্তমানে রয়েছে রাশিয়ার শক্তিশালী এস-৩০০ মিসাইল সিস্টেম। রাশিয়ার তৈরি সর্বাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা সিস্টেম ‘এস-৪০০’ খুব শিগগির তেহরান পেয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া ইরান নিজেও এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম উদ্ভাবন করেছে। ইরানের বর্তমান এয়ার ডিফেন্স মিসাইল সিস্টেম ইসরাইলের এফ-১৬ অথবা এফ-১৫ বিমানের জন্য বড় ধরনের হুমকি। এসব বিমান ইরানে প্রবেশ করলে তা ইরানের রাডারে ধরা পড়বে এবং ইরানের শক্তিশালী মিসাইল আঘাতের শিকার হবে। তাই ইরানে হামলা করতে হলে এখন ইসরাইলের সেটি করতে হবে শুধু এফ-৩৫ এর সাহায্যে। এফ-৩৫ এর মোকাবিলায় ইরানের হাতে ‘সুখোই সু-৩৫ ফ্ল্যাঙ্কার’ পৌঁছে গেলে বাধাগ্রস্ত হবে এফ-৩৫ এর একক আধিপত্য। এছাড়া ইরান নিজস্ব প্রযুক্তিতে ‘অযারাখশ’ নাসে আক্রমণাত্মক একটি জঙ্গি বিমান তৈরি করেছে। এটি শব্দের চেয়েও দ্রুত গতিতে চলে। ইরান মিগ-টুয়েন্টি নাইন জাতীয় বিমানকে আরো উন্নত বিমানে রূপান্তরিত করছে এবং ইরানি বিশেষজ্ঞরা নানা ধরনের বোমারু বিমান মেরামত করছেন। উল্লেখ্য, ইরান রাডার ফাঁকি দিতে সক্ষম স্টিলথ জঙ্গি বিমানও নির্মাণ করছে। নৌ-প্রতিরক্ষা শিল্পে ইরানের অসাধারণ অগ্রগতির বড় প্রমাণ হলো, ‘গাদির সাবমেরিন’ ও ‘ব্লিড রানার- ৫১’ নামক দ্রুত গতিসম্পন্ন নৌযান ইরানের নৌশক্তি অন্যতম শক্তি। ইরান এরই মধ্যে নিজস্ব প্রযুক্তিতে বিশালাকৃতির রণতরী নির্মাণেরও ঘোষণা দিয়েছে। ধারণা করা হয়, ইরানের কাছে যে পরিমাণ ইউরেনিয়াম মজুত আছে তা দিয়ে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে পারমাণবিক বোমা বানাতে সক্ষম। ২০২২ সালের ১৭ জুলাই আলজাজিরা চ্যানেলে এক সাক্ষাৎকারে ইরানের পরমাণু শক্তি সংস্থার প্রধান মোহাম্মদ এসলামি বলেছিলেন, ‘পারমাণবিক বোমা বানানোর কারিগরি ক্ষমতা ইরানের আছে, কিন্তু এটা তৈরি করার কোন সিদ্ধান্ত ইরান নেয়নি।’ খোদ মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাও ইরানের পরমাণু বোমা তৈরির মতো যথেষ্ট পরিমাণের ইউরেনিয়াম মওজুদ কথা স্বীকার করেছে।
এ অবস্থায় আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষকদের মাঝে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, এর পরও কি ইসরাইল ইরানে হামলার সাহস পাবে? তবে এই প্রশ্নের উত্তরের জন্য অপেক্ষায় থাকা ছাড়া আপাতত কোনো উপায় নেই।
লেখক : কলামিস্ট ও আন্তর্জাতিক
রাজনীতি বিশ্লেষক