গত বছরের মার্চের এক দিনে ৮১ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে গোটা বিশ্বের নজরে এসেছিল সৌদি আরব। এবার সামনে আরেক তথ্য। ১০ জন বিচারপতিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মানবাধিকার ও নারী অধিকার কর্মীদের প্রতি নরম মনোভাব দেখানোর অপরাধেই তাদের এ ‘ঐতিহাসিক’ শাস্তি দিল সৌদি আরব। ডেমোক্রেসি ফর দ্য আরব ওয়ার্ল্ড নাউ (ডিএফএডব্লিউন) ১০ জনের মধ্যে ৬ জন রিয়াদের স্পেশালাইজড ক্রিমিনাল কোর্টের বিচারপতি, বাকি চারজন হাইকোর্টের সাবেক বিচারপতি। ২০২২ সালের ১১ এপ্রিল তাদের গ্রেপ্তার করে সৌদি স্টেট সিকিউরিটি এজেন্সি। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত জেলেই বন্দি রয়েছেন তারা। তাদের কোনো রকম আইনি সহায়তাও দেওয়া হচ্ছে না প্রশাসনের তরফে। শুধু তাই নয়, পরিবার এবং বাইরের কারও সঙ্গে যোগাযোগও করতে দেওয়া হচ্ছে না।
সাজাপ্রাপ্ত বিচারপতিদের মধ্যে একজন হলেন আল লুহাইদান। তিনি ২০২০ সালে বিশিষ্ট নারী অধিকারকর্মী লুজাইন আল হাথলাউলকে তার এজলাসে পেশ করার ২ মাসের মধ্যেই মুক্তি দিয়েছিলেন। লুজাইনকে আগে ৬ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন সৌদি আদালত। কিন্তু সেই মামলা লুহাইদানের এজলাসে ওঠার পর তিনি লুজাইনের শাস্তি কমিয়ে মাত্র ২ বছর ১০ মাসের সাজা শোনান। সেই সাজার বেশিরভাগটাই আগে অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়ায় ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মুক্তি পান ওই নারী অধিকার রক্ষাকর্মী। বাকি ‘অভিযুক্ত’ বিচারপতিদের বিরুদ্ধে একই ধরনের অভিযোগ রয়েছে। তাদের সরিয়ে দিয়ে এরই মধ্যে সেই জায়গায় অন্য বিচারপতিদের নিয়োগ করেছেন সৌদি ক্রাউন প্রিন্স।