ঢাকা ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সুদানে লড়াই অব্যাহত

খার্তুম ছেড়ে যাচ্ছেন বিদেশিরা
সুদানে লড়াই অব্যাহত

সুদানে রাজধানী খার্তুমে সামরিক বাহিনীর দুই প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রুপের মধ্যে লড়াই অব্যাহত থাকায় যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশকিছু দেশ তাদের কূটনীতিক ও নাগরিকদের সরিয়ে নিচ্ছে। মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতরের জন্য একটি যুদ্ধবিরতি করার আহ্বান সত্ত্বেও সহিংসতা থামেনি।

সুদানের সামরিক নেতৃত্বের দুই অংশের মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ্বের কারণে গত সপ্তাহে এই সহিংসতা শুরু হয়। এক সপ্তাহ ধরে চলা সহিংসতায় এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৪০০ লোক নিহত হয়েছে।

সংবাদদাতারা জানাচ্ছেন খার্তুম শহরে বোমা বিস্ফোরণ, গোলাবর্ষণ ও বন্দুকের গুলিবিনিময় অব্যাহত রয়েছে। খার্তুমের বাসিন্দারা বলছেন, যে শহরে ঈদের সময়টায় পরিবেশ উৎসবমুখর থাকে, সেখানে এখন বিরাজ করছে ভূতুড়ে পরিবেশ।

সুদানে লড়াই অব্যাহত থাকায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও চীন তাদের কূটনীতিক ও নাগরিকদের সে দেশ থেকে সরিয়ে নিতে যাচ্ছে। সুদানের সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে জানানো হয়, সেনাবাহিনীর প্রধান ফাত্তাহ আল বোরহান বিদেশিদের সরিয়ে নেয়ার নিরাপদ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে রাজি হয়েছেন।

হঠাৎ করেই কেন লড়াই?

সেনাবাহিনী বলছে, এ চারটি দেশ তাদের কূটনীতিকদের নিজ নিজ দেশে ফিরিয়ে নিতে সামরিক বিমান ব্যবহার করবে। আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এ প্রক্রিয়া শুরু হবে। এ ছাড়া সৌদি আরবও ঘোষণা করে যে, তারা ‘ভ্রাতৃপ্রতিম কিছু দেশের’ নাগরিকদের সুদান থেকে সরিয়ে নেয়ার ব্যবস্থা করছে। সব শেষ খবরে বলা হয়, সৌদি মিশনের কূটনীতিকরা এরই মধ্যে সড়কপথে পোর্ট সুদান গিয়ে সেখান থেকে নিজ দেশের উদ্দেশে বিমানে উঠেছেন।

সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়, জর্ডানের দূতেরাও একই পথে স্বদেশে ফিরে যাবেন। নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে এর আগে বিদেশি নাগরিকদের সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা যায়নি। সুদানের সেনাবাহিনী ও তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী আধা-সামরিক বাহিনীর লড়াইয়ের সময় খার্তুমের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি আক্রান্ত হয়েছে।

কেন এই সংঘাত

সুদানে কীভাবে বেসামরিক শাসন ফিরিয়ে আনা হবে, মূলত তা নিয়ে দুই ক্ষমতাধর সামরিক অধিনায়কের দ্বন্দ্ব থেকে এই লড়াই চলছে। সুদানের বর্তমান সামরিক সরকার চলে মূলত সেনাপ্রধান জেনারেল আবদুল ফাত্তাহ আল বোরহানের নেতৃত্বে। তার সঙ্গে উপনেতা হিসেবে আছেন আরেকটি আধা-সামরিক বাহিনী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)-এর প্রধান মোহাম্মদ হামদান হেমেডটি ডাগালো।

বেসামরিক শাসনে প্রত্যাবর্তনের পরিকল্পনা অনুযায়ী, এই দুটি বাহিনীকে একীভূত করার কথা। কিন্তু আরএসএফ তাদের বিলুপ্ত করার বিপক্ষে এবং এই পরিকল্পনা থামানোর জন্য তাদের বাহিনীকে রাস্তায় নামায়। এরপর এটি সেনাবাহিনী এবং আরএসএফের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ লড়াইয়ে রূপ নিয়েছে। জাতিসংঘ হুঁশিয়ারি দিয়েছে যে, ১০ হাজার থেকে ২০ হাজার মানুষ (যাদের বেশিরভাগ নারী এবং শিশু) সুদান ছেড়ে পালিয়েছে পাশের দেশ চাডে আশ্রয় নেয়ার জন্য।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত