প্রতিদ্বন্দ্বী লড়াইয়ে কোন পথে সুদান
অধ্যাপক শাব্বির আহমদ
প্রকাশ : ০৯ মে ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
দুই বছর যেতে না যেতেই ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল দীর্ঘদিন ধরেই ‘কনফ্লিক্ট জোন’ বা যুদ্ধাঞ্চল খ্যাত আফ্রিকার অন্যতম বৃহৎ দেশ সুদান। ১৫ এপ্রিল ২০২৩ থেকে শুরু হওয়া এবারের সংঘাতের এক পক্ষে সেনাপ্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল বোরহান, অপর পক্ষে আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্স ‘আরএসএফ’র প্রধান জেনারেল মোহাম্মদ হামদান দাগালো। ২০২১ সালের ২৫ অক্টোবর সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী আবদুল্লাহ হামদুককে গৃহবন্দি ও বেশ কয়েকজন মন্ত্রীকে গ্রেপ্তারের পর জেনারেল বোরহান ও জেনারেল দাগালোর নেতৃত্বাধীন জেনারেলদের একটি কাউন্সিল দেশটি পরিচালনা করতে থাকে। জেনারেল বোরহান সুদানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান এবং সে কারণে তিনিই দেশটির প্রেসিডেন্ট হন। অন্যদিকে র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস বা আরএসএফের কমান্ডার জেনারেল মোহাম্মদ হামদান দাগালো হন দেশটির উপনেতা। বেশ কিছুদিন আগেও তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব ছিল। সুদানের প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশিরকে ২০১৯ সালে ক্ষমতা থেকে সরাতে তারা দু’জন একসঙ্গে কাজ করেছেন। কিন্তু পরে বিভিন্ন ইস্যুতে তাদের মধ্যে তৈরি হয় ক্ষমতার দ্বন্দ্ব। সুদানের সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম মারফত জানা যায়, মতভেদের মূলে আছে দুই বাহিনীর একীভূতকরণের সময়সীমা, আরএসএফ কর্মকর্তাদের একীভূত বাহিনীতে পদমর্যাদা কী হবে, সে নিয়ে মতানৈক্য এবং আরএসএফের সদস্যরা কী সেনাপ্রধানের আওতায় থাকবেন নাকি কমান্ডার ইন চিফের (বোরহান) আওতায় থাকবেন, সে বিষয়ে দ্বিধা। বেশ কিছুদিন ধরে চলে আসা দ্বন্দ্বে কায়রো বোরহানের নেতৃত্বাধীন সুদানের সশস্ত্র বাহিনীকে সমর্থন জানিয়েছে। অপরদিকে আরব আমিরাত ও রাশিয়ার কাছ থেকে সমর্থন পাচ্ছেন জেনারেল দাগালো। গত ১৪ এপ্রিল ২০২৩ জেনারেল বোরহান আরএসএফকে ‘বিদ্রোহী সংগঠন’ হিসেবে অভিহিত করে সংস্থাটি বিলুপ্ত করে দেয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানানোর পরপরই আরএসএফ নেতা দাগালো সেনাপ্রধান বোরহানকে ‘উগ্রপন্থি’ হিসেবে অভিহিত করে তার নেতৃত্বাধীন বাহিনীকে রাজধানী খার্তুমের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে মোতায়েন করলে শুরু হয় উভয় পক্ষের মধ্যে যুদ্ধ। সুদানের সেনাবাহিনী আকারে বড় এবং তাদের কাছে যুদ্ধবিমান আছে। তবে আরএসএফ’র সদস্যদের খার্তুম ও অন্যান্য শহরে মোতায়েন করা আছে। আরএসএফ নেতা দাগালো এরই মধ্যে অভিযোগ এনেছেন, জেনারেল বোরহানের সেনাবাহিনী বেসামরিক ব্যক্তিদের ওপর আকাশ থেকে বোমা ছুড়ছে। খার্তুমসহ বড় বড় শহরগুলোতে যুদ্ধ, গোলাবর্ষণ এবং বিমান হামলার ফলে অসংখ্য বেসামরিক লোক মারা গেছে। মানুষ খাদ্য, পানি এবং চিকিৎসাসেবা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। রাজধানীজুড়ে শোনা যাচ্ছে কামানের গর্জন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেনের উদ্যোগে এবং মিশর ও আরব আমিরাতের সহযোগিতায় গত ২৪ এপ্রিল মধ্যরাত থেকে ৭২ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতিতে আসতে সম্মত হয় বিবদমান পক্ষদ্বয়। তবে আরএসএফ নেতা দাগালো বলেছেন, তিন দিনের যুদ্ধবিরতির সময় তার যোদ্ধাদের ওপর নির্বিচারে বোমাবর্ষণ করা হয়েছে।
আফ্রিকা মহাদেশের তৃতীয় বৃহৎ রাষ্ট্র সুদান আরব লীগের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য রাষ্ট্র। ৯ জুলাই ২০১১ সালে পশ্চিমাদের প্রত্যক্ষ মদদে খ্রিষ্টান অধ্যুষিত দক্ষিণ সুদান স্বাধীন না হওয়া পর্যন্ত দেশটি আফ্রিকার সর্ববৃহৎ রাষ্ট্র ছিল। এরপর দেশটির অর্থনীতিতে অবনতি ঘটতে শুরু করে। কারণ, তেলের খনিগুলোর বেশিরভাগই ছিল দক্ষিণ সুদানে। জনসংখ্যা প্রায় ৪ কোটি; যার ৭০ শতাংশ ইসলাম ধর্মাবলম্বী। সুদানের সামরিক বাহিনীর নাম ‘সুদানিস পিপলস আর্মড ফোর্সেস’। মোট সদস্য আড়াই লাখের বেশি। সেনা, নৌ, বিমান, সীমান্ত ও নিরাপত্তারক্ষী বাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত আর্মড ফোর্সেস বাহিনী। সুদানের এ বাহিনীটি অত্যন্ত দক্ষ। ১ জানুয়ারি ১৯৫৬ সালে সুদান ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে এবং ইসমাইল আল আজহারি হন দেশটির প্রথম প্রেসিডেন্ট। ১৯৫৮ সালে দেশটিতে অর্থনৈতিক বিপর্যয় ও রাজনৈতিক অস্থিশীলতা দেখা দিলে সুদানের ইতিহাসে প্রথম সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেন সেনাপ্রধান জেনারেল ইবরাহিম আব্বুদ। ১৯৮৩ সালে সুদানে ইসলামি আইন চালু করেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জাফর নিমেইরি। মদ্যপান নিষিদ্ধ করে রাজধানী খার্তুমের পাশে নীলনদের জলে মদের বোতল ছুড়ে ফেলেন তিনি। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও সুদানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীও বাস করেন। ফলে বিশেষ করে দক্ষিণাঞ্চলীয় খ্রিষ্টান জনগোষ্ঠীকে ফুসলিয়ে বিচ্ছিন্নবাদী আন্দোলনের দিকে ঠেলে দেয় আমেরিকা ও ইউরোপ। ১৯৮৯ সালে কর্নেল ওমর আল বশির এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশটির ক্ষমতায় আসেন। তিনি ১৯৯৬ সালে নিজেকে সুদানের প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন এবং দেশে ইসলামি আইন চালু করেন। এরপর থেকে যুক্তরাষ্ট্র সুদানকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক অবরোধ আরোপ করে। বিশ্বের প্রায় সব মানবাধিকার সংগঠন তার শাসনামলে দক্ষিণ সুদানে স্বাধীনতাকামীদের দমন অভিযানকে ‘গণহত্যা’ বলে অভিহিত করেছিল। অবশেষে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে ৯ জুলাই ২০১১ সালে গণভোটে দক্ষিণ সুদান স্বাধীন হয়ে গেলে পশ্চিমারা কিছুটা নমনীয় হতে থাকে। ২০ বছর ধরে চলে আসা অবরোধ ১৯৯৭ সাল থেকে কিছুটা প্রত্যাহার শুরু হয়। তবে অভ্যন্তরীণ সংঘাত দেখা দিতে শুরু করে দেশটিতে। অর্থনৈতিক পরিস্থিতি চরম অবনতি ঘটতে শুরু করে। জনঅসন্তোষ দানা বাঁধতে থাকে। অবশেষে প্রায় ৩০ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা সুদানের প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশিরকে ২০১৯ সালের এপ্রিল ক্ষমতাচ্যুত করে ক্ষমতা দখল করে দেশটির সেনাবাহিনী। এর পর দেশটিতে একটি অস্থায়ী সরকার গঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী হন আবদুল্লাহ হামাদ। সামরিক-বেসামরিক কোয়ালিশনের অন্তর্র্বর্তী এ সরকারকে স্বীকৃতি দিয়েছিল জাতিসংঘসহ ইউরোপ-আমেরিকা ও সৌদি-আমিরাত-মিশরীয় জোট। সুদান সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের অন্যতম অংশীদার। ইয়েমেনে হুতি মিলিশিয়াদের বিরুদ্ধে সৌদি আরবের হয়ে যুদ্ধে লিপ্ত সুদানের সেনাবাহিনীর বেশ কয়েকটি ইউনিট। ক্ষমতায় এসে কোয়ালিশন সরকার দেশটির অন্তর্র্বর্তী সরকারের বিদ্রোহী দল ‘সুদান পিপলস লিবারেশন মুভমেন্ট’ বা এসপিএলএমণ্ডএর সঙ্গে চুক্তি করে। চুক্তি অনুযায়ী সুদানে পরিপূর্ণ গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার অঙ্গীকারও করে। চুক্তির অংশ হিসেবে ধর্মকে রাষ্ট্র থেকে পৃথক করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ফলে প্রায় ৩০ বছর পর দেশটির সংবিধান থেকে ইসলামি আইন ও রাষ্ট্রধর্ম বাতিল করা হয়। মুসলিম ব্রাদার হুডকে কোনো প্রশ্রয় না দেয়ার শর্তে সুদানের সামরিক বাহিনীকে অর্থনৈতিক সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছিল রিয়াদ এবং আবুধাবি। দেশটির বেসামাল অর্থনীতিকে সামাল দিতে তারা তিনশত কোটি ডলার ঋণ দেয়ারও অঙ্গীকার করেছিল। কোয়ালিশন সরকার ইসরাইলের সঙ্গে শান্তিচুক্তি সম্পাদন করে আমেরিকার প্রিয়ভাজনেও পরিণত হয়েছিল। ২৫ অক্টোবর ২০২১ অকস্মাৎ সেনাপ্রধান জেনারেল আবদুল ফাত্তাহ আল বোরহান এবং আরএসএফ কমান্ডার জেনারেল মোহাম্মদ হামদান দাগালো প্রধানমন্ত্রী আবদুল্লাহ হামাদুককে ক্ষমতাচ্যুত করেন। সেনাদের হাতে সরকারের উৎখাত হওয়ার বিষয়টির তীব্র নিন্দা করে রাষ্ট্রসংঘ, আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। সব ধরনের আর্থিক সহায়তা স্থগিত করে দেয় বিশ্বব্যাংক। সুদানের সদস্যপদ স্থগিত করেছিল আফ্রিকান ইউনিয়ন। প্রায় ৭০০ মিলিয়ন ডলারের ত্রাণ সহায়তা আটকে দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রও। ২০১৯ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশিরের শাসনের পতনের পর সুদান ইস্যুতে আমেরিকার আগ্রহ আবার বৃদ্ধি পায়। ওয়াশিংটন গণতান্ত্রিক উত্তরণ প্রক্রিয়ার দ্বারা অর্জিত গ্রহণযোগ্য সাফল্যের বিষয়ে আশাবাদী ছিল। কিন্তু ২০২১ সালে সার্বভৌমত্ব কাউন্সিলের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী হামদুককে অপসারণের ফলে আমেরিকা নিরাশ হয়। ফলে অর্থনৈতিক উন্নয়নের মুখ দেখা সুদানের ভব্যিষ্যৎ আবারও গভীর অন্ধকারে ডুবতে বসে। কিন্তু এসব কিছুর কোনো তোয়াক্কাই করেনি সুদানের জেনারেলরা। জেনারেলরা চীন-রাশিয়ার সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তুলে সুদানের অর্থনীতিকে মোটামুটি সচল রাখতে চেষ্টা চালিয়ে যায়।
আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষকদের মতে, জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি কার্যকর না হলে আবারও শুরু হতে পারে দু’পক্ষের মাঝে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ। আরএসএফ বাহিনীর প্রধান জেনারেল দাগালো বলেছেন, তার সৈন্যরা সব সেনাঘাঁটি দখল না করা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবে। অন্যদিকে আরএসএফকে ধ্বংস না করা পর্যন্ত আপস-আলোচনার প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে সুদানের সশস্ত্র বাহিনী। এ সংঘর্ষকে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই হিসেবে বিবেচনা করছে জেনারেল আবদুল ফাত্তাহ আল বোরহানের নেতৃত্বাধীন সেনাবাহিনী। কিন্তু বিষয়টি কী এত সহজ? প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশির ২০১৩ সালে ‘আরএসএফ’ নামক এই আধা-সামরিক বাহিনীটি গঠন করেছিলেন। যাদের নিয়ে দেশের ভেতরে ও বাইরে অনেক বিতর্ক রয়েছে। এ বাহিনীর মূলে রয়েছে জানজাওয়িদ মিলিশিয়া গ্রুপ। যারা দাফুরের বিদ্রোহীদের নিষ্ঠুরভাবে দমন করেছিল। ওমর আল বশির নিজে আরএসএফ’র কার্যক্রম তদারকি করলেও এর প্রধান ছিলেন জেনারেল দাগালো। পরে এই দাগালো সেনা প্রধান জেনারেল আল বোরহানের সঙ্গে মিলে প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশিরের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন। আল বশিরকে উৎখাতের পর সামরিক বাহিনীর নেতৃত্বাধীন সরকারে তিনি উপ-প্রধানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। জেনারেল দাগালো পরে আরএসএফকে একটি শক্তিশালী বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলেন। বর্তমানে এ বাহিনীর সৈন্য সংখ্যা এক লক্ষ। আরএসএফ বাহিনী ইয়েমেন ও লিবিয়ার সংঘাতেও জড়িয়ে পড়ে। শুধু তাই নয়, সুদানের বেশ কয়েকটি সোনার খনিতেও তারা তাদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে। দেশটির সেনাবাহিনীর বাইরে এ রকম শক্তিশালী একটি বাহিনীর উপস্থিতিকেও সুদানের অস্থিতিশীলতার অন্যতম কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
চলমান সংঘাত শুরুর আগে দেশটিতে বেসামরিক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য বিভিন্ন গ্রুপ ও সেনাবাহিনীর মধ্যে আলাপ-আলোচনা চলছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ওই সংলাপও ব্যর্থ হয়। আশঙ্কা করা হচ্ছে, দেশটিতে এতদিন ধরে যে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছিল, এ সংঘাতের ফলে তা আরও মারাত্মক আকার ধারণ করবে। সেনাপ্রধান জেনারেল আবদুল ফাত্তাহ আল বোরহান এবং জেনারেল মোহাম্মদ হামদান দাগালো একে অপরকে টপকানোর চেষ্টা করছেন। এ হাড়ভাঙা যুদ্ধে জয়ী হওয়ার জন্য তারা উভয়ে অসাধ্য সাধন করতে প্রস্তুত। অবশ্য আরএসএফ নেতা দাগালো আলোচনার টেবিলে সমস্যা সমাধানে বসার আগ্রহের কথা ব্যক্ত করে বারবার বলে আসছেন, ‘আমরা সুদানকে ধ্বংস করতে চাই না। তবে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আবদুল ফাত্তাহ আল বোরহান আরএসএফকে বিলুপ্ত করে সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে আনতে বদ্ধপরিকর। এ অবস্থায় সুদানের রাজনীতির গতিপ্রকৃতি কোন দিকে মোড় নেয়, এক্ষুণি বলা মুশকিল।’ আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, বিবদমান দুই জেনারেলের মধ্যে সমঝোতা না হলে কিংবা স্থায়ী যুদ্ধবিরতি কার্যকর না হলে আফ্রিকার সদয় বুদ্ধিমান মানুষের দেশ হিসেবে খ্যাত সুদান রাষ্ট্রটি পুনরায় বিভক্তির দিকে ধাবিত হতে পারে।
লেখক : গবেষক, কলামিস্ট ও আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষক