অস্ট্রিয়ায় ইসলাম ধর্মাবলম্বীর সংখ্যা বাড়ছে

প্রকাশ : ০৪ জুলাই ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত বিশ্ব ডেস্ক

ভিয়েনা, ওয়াইন এবং অসাধারণ সব দৃশ্য। ১০০ বছর আগে নিজেদের প্রজাতন্ত্র হিসেবে ঘোষণা দিয়েছিল অস্ট্রিয়া। দেশটিতে দিন দিন ইসলাম ধর্মের মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। অস্ট্রিয়া পশ্চিম ইউরোপের একটি রাষ্ট্র। স্থলবেষ্টিত এ দেশের উত্তরে জার্মানি ও চেক প্রজাতন্ত্র, পূর্বে সোভাকিয়া ও হাঙ্গেরি, দক্ষিণে সোভেনিয়া ও ইতালি এবং পশ্চিমে সুইজারল্যান্ড ও লিস্টেনস্টাইন। অস্ট্রিয়া মূলত আল্পস পর্বতমালার ওপরে অবস্থিত। দেশটির তিন-চতুর্থাংশ এলাকা পর্বতময়। এটি ইউরোপের ৬টি রাষ্ট্রের অন্যতম, যারা স্থায়ীভাবে নিরপেক্ষতা ঘোষণা করেছে। অস্ট্রিয়া ১৯৫৫ থেকে জাতিসংঘের এবং ১৯৯৫ থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য। বার্গেনল্যান্ড থেকে লেক কন্সটান্সের মধ্যকার দেশটি নয়টি রাজ্যে বিভক্ত।

অস্ট্রিয়ায় ৮.৮ মিলিয়ন (৮৮ লাখ) মানুষের বাস। দেশটির অধিকাংশ অংশই আসলে পাহাড়ি অঞ্চল। পুরো দেশের মতো পূর্বাঞ্চলের ফোরার্লব্যার্গ রাজ্যও ছবির মতো সুন্দর। ভিয়েনায় শ্যোনবর্ন প্যালেসের মতো অস্ট্রিয়ান এম্পায়ারের আর কোনো বড় প্রতীক নেই। ১৯১৮ সাল অবধি এটা ছিল হাবর্সবর্গ শাসকদের গ্রীষ্মকালীন আবাস। পরবর্তী সময়ে এটিকে বিশ্ব ঐতিহ্য ঘোষণা করে ইউনেস্কো। বর্তমানে বছরে প্রায় ৪০ লাখ পর্যটক এ স্থাপনাটি দেখতে আসেন। গ্রীষ্মে ভিয়েনার বাসিন্দারা শহরের বাইরে দেশটির সবুজ গ্রামাঞ্চলে ছুটে যান। লোয়ার অস্ট্রিয়ার ভাইনফিয়ার্টেল ওয়াইন উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত। অনেকেই এ অঞ্চলে যান সরাসরি ওয়াইন উৎপাদকের কাছ থেকে ওয়াইন পানের আশায়। অস্ট্রিয়ার সবচেয়ে নিম্নাঞ্চল হচ্ছে বার্গেনল্যান্ড। সেখানে লেখ নয়েসিডলের অবস্থান, যেখানে দুর্লভ সব পাখির দেখা মেলে।

এলাকাটি বিশ্বের সবচেয়ে শান্ত ইলেক্ট্রো-পপ উৎসব লেক অব লাভের জন্যও বিখ্যাত। সেই উৎসবের সংগীত সবাই একত্রে শুনলেও কানে পৌঁছায় আলাদা আলাদা হেডফোনে। অস্ট্রিয়াতে প্রচলিত ধর্মবিশ্বাসের মধ্যে রোমান ক্যাথলিক খ্রিষ্টধর্ম প্রধান। ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী ৭৩.৬ শতাংশ লোক এ ধর্মে বিশ্বাসী। প্রায় ১১.৫ শতাংশ লোক প্রতি রোববারে গির্জায় যান। তবে গির্জায় যাওয়ার পরিমাণ ধীরে ধীরে হ্রাস পাচ্ছে। লুথেরান খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীরা ২০০৬ সালে জনসংখ্যার ৪.৭ শতাংশ ছিল; এরা বেশিরভাগই দক্ষিণ অস্ট্রিয়ার কের্নটেন অঙ্গরাজ্যে বাস করে। অস্ট্রিয়াতে মুসলিম ধর্মাবলম্বীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, বর্তমানে এরা জনসংখ্যার ৪.২ শতাংশ। এ ছাড়া অস্ট্রিয়াতে স্বল্পসংখ্যক হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ ও ইহুদি বাস করেন।