ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বিখ্যাত ট্রোকাডেরো ভবনে মসজিদের অনুমতি

বিখ্যাত ট্রোকাডেরো ভবনে মসজিদের অনুমতি

ট্রোকাডেরো লন্ডনের ওয়েস্ট এন্ডের এককালের বিখ্যাত বিনোদনকেন্দ্র ছিল। এবার সেখানে মসজিদ করার অনুমোদন পেয়েছে যুক্তরাজ্যের মুসলিম দাতব্য সংস্থা আজিজ ফাউন্ডেশন। সম্প্রতি কমপ্লেক্সটির একটি অংশে মসজিদ ও ইসলামিক সেন্টার করার অনুমতি দেয় ওয়েস্টমিনস্টার সিটি কাউন্সিল। গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, লন্ডনের মূলকেন্দ্রে নামাজের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় মসজিদ করার অনুমোদন চাইলে ৩৯০ জনের ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন মসজিদ করার এ অনুমোদন দেয়া হয়। এর আগে ২০২০ সালে এখানে এক হাজার ব্যক্তির ধারণ ক্ষমতার মসজিদ করার পরিকল্পনা নেয়া হলেও ডানপন্থি দলগুলো ও স্থানীয়দের বিরোধিতার মুখে তা বাদ দেয়া হয়। এক বিবৃতিতে আজিজ ফাউন্ডেশন জানায়, ট্রোকাডেরো কমপ্লেক্সের বেসমেন্টে খালি জায়গা মসজিদ হিসেবে ব্যবহৃত হবে। এখানে যেসব মুসলিম কাজ করেন, ঘুরতে আসেন এবং বসবাস করেন, স্থানটি তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। নামাজের স্থান হিসেবে ব্যবহৃত হলেও ভবনটি আগের মতো সব ধর্মাবলম্বী ও দলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। তা ছাড়া পিকাডিলি কমিউনিটি সেন্টার, নামাজের স্থান ও স্থানীয় সামাজিক উদ্যোগ ও আন্তর্ধমীয় কার্যক্রমে ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতার কথা বলা হয়। তাতে আরও বলা হয়, কমিউনিটি হল ও নামাজের প্রধান স্থান হিসেবে ভবনের একদম নিচের বেসমেন্ট ব্যবহৃত হবে। এখানে অন্তত ২৫০ জন একসঙ্গে নামাজ পড়তে পারবে। আর মেজানিন ফ্লোরে অন্তত ১৪০ জনের নামাজ পড়ার জায়গা হবে। তা ছাড়া এখানে অজু, টয়লেটসহ প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা থাকবে। একজন ব্যবস্থাপক ও ইমামসহ মোট চারজন কর্মী সার্বক্ষণিক সেবা দেবেন। শনিবার ও রোববার ছাড়া সপ্তাহের অন্যান্য দিন তা ১০টা থেকে ৭টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। জুমার নামাজের ব্যবস্থা থাকলেও এখানে ঈদ ও জানাজার নামাজের ব্যবস্থা থাকবে না। লন্ডনের ওয়েস্ট অ্যান্ড সিটির পিকাডিলি সার্কাস ও সোহোর মধ্যখানে অবস্থিত ট্রোকাডেরো কমপ্লেক্স। ১৮৯৬ সালে নির্মিত ভবনটি দীর্ঘ সাত দশক ধরে রেস্টুরেন্ট হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এরপর ১৯৬৫ সালে তা বন্ধ হওয়ার পর ১৯৮৪ সালে পুনরায় সেখানে প্রদর্শনীস্থল ও দ্য মেট্রো নামে সিনেমা হল চালু হয়। মূলত ১১ তলাবিশিষ্ট ভবনটি তখন লন্ডনের প্রধান বিনোদনকেন্দ্র হিসেবে ছিল। এখানে ৪৯০টি রুমবিশিষ্ট জেডওয়েল নামে একটি হোটেলও রয়েছে। নব্বইয়ের দশকে পেপসি ও সেগার সহযোগিতায় ভবনটি সবার মধ্যে বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ১৯৯৭ সালে এটি ছিল যুক্তরাজ্যের প্রথম থ্রিডি আইম্যাক্স সিনেমার প্রধান কেন্দ্র। পরবর্তী সময়ে পেপসি ও সেগাওয়ার্ল্ড এর মালিকানা ছেড়ে দেয়। বর্তমানে ভবনটিতে হোটেল ও রেস্টুরেন্ট আছে। ২০০৫ সালে ব্রিটিশ বিলিয়নেয়ার উদ্যোক্তা ও সমাজসেবী আসিফ আজিজ ২২০ মিলিয়ন পাউন্ডের বেশি অর্থ দিয়ে ভবনটি ক্রয় করেন। সমাজসেবামূলক প্রতিষ্ঠান আজিজ ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে এর বেসমেন্টের কিছু অংশ মসজিদ ও ইসলামিক সেন্টার হিসেবে ব্যবহৃত হবে। এর সম্ভাব্য নাম হবে- পিকাডিলি প্রেয়ার স্পেস। আশা করা হচ্ছে, আগামী এক মাসের মধ্যে স্থানটি নামাজের জন্য প্রস্তুত করা হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত