পাকিস্তানে সরকারি ব্যবস্থাপনায় যারা পবিত্র হজ পালন করেছিলেন, তাদের বেঁচে যাওয়া বাড়তি অর্থ ফেরত দিচ্ছে সরকার। বেঁচে যাওয়া অর্থ হিসাব করে প্রতি হাজী গড়ে অন্তত ৯৭ হাজার রুপি করে ফেরত পাচ্ছেন। শনিবার (২৯ জুলাই) উর্দু সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস নিউজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। দেশটির ধর্মবিষয়ক মন্ত্রী জানিয়েছেন, কার্যকর খরচ সাশ্রয়ী পদক্ষেপের কারণে হজযাত্রীরা এ অর্থ ফেরত পাবেন।
সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় সরকারি স্পনসর্ড স্কিমের মাধ্যমে চলতি বছর হজ পালনকারী লাখো পাকিস্তানি হাজীকে ১২শ’ কোটি রুপি ফেরত দেবে। এ প্রসঙ্গে পাকিস্তানের ধর্মবিষয়ক মন্ত্রী তালহা মাহমুদ জানিয়েছেন, হজযাত্রীরা আগামী সপ্তাহেই তাদের নিজ নিজ ব্যাংক অ্যাকাউন্টে তাদের হজের খরচের আংশিক অর্থ ফেরত পাবেন।
তিনি আরও বলেন, এ বছর ২২ হাজার ৬০০ হাজী মিনায় জায়গা পাননি বা ট্রেন সুবিধা নিতে পারেননি। তাদের জনপ্রতি অতিরিক্ত আরও ২১ হাজার রুপি করে ফেরত দেয়া হবে। একইভাবে মদিনার মারকাজিয়ার বাইরে বসবাসকারী ১৮ হাজার হজযাত্রীকে জনপ্রতি অতিরিক্ত ১৪ হাজার রুপি ফেরত দেয়া হবে। এটি হজযাত্রীদের নিজস্ব অর্থ, যা তাদের ফেরত দেয়া হচ্ছে। যারা মদিনায় থাকার ব্যবস্থা করতে অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছেন, তাদের ১ লাখ ১১ হাজার রুপি ফেরত দেয়া হবে। যারা মাশাইর ট্রেন ব্যবহার করতে পারেনি, তাদের ১ লাখ ১৮ হাজার রুপি ফেরত দেয়া হবে এবং হজযাত্রীদের মধ্যে যাদের মদিনার কেন্দ্রীয় অবস্থান থেকে দূরে থাকতে হয়েছিল, তারা ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১ লাখ ৩২ হাজার রুপি পাবেন।
এর কারণ ব্যাখ্যা করে মন্ত্রী বলেন, মারকাজিয়ার অনেক ভবন সৌদি সরকার ভেঙে দিয়েছে, যার মধ্যে পাকিস্তান হাউসের দুটি ভবনও রয়েছে। সে কারণে মারকাজিয়া থেকে আমাদের আবাসিক ভবনগুলো দূরে সরিয়ে নিতে হয়েছিল। মন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, ৭৮ শতাংশ হজযাত্রীকে মদিনার পবিত্র স্থানগুলোর নিকটবর্তী স্থানে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ৬৩ শতাংশ হজযাত্রীকে মিনায় ভ্রমণের জন্য মাশাইর ট্রেনের সুবিধা প্রদান করা হয়েছিল এবং ৪৭ শতাংশ হাজী পুরোনো মিনায় তাদের অবস্থান উপভোগ করেছেন।