মরক্কোয় ভয়াবহ ভূমিকম্প

হুমাইদুল্লাহ তাকরিম

প্রকাশ : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

এযাবৎকালের সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্পের পর মরক্কোতে চলছে মাতম। ভূমিকম্পের দুদিন পরও জীবিত ব্যক্তিদের খোঁজে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে বিস্তীর্ণ জনপদ। এ ভূমিকম্পে গত রোববার বিকাল পর্যন্ত দুই হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানির কথা জানানো হয়েছে। গত শুক্রবার মধ্যরাতে মরক্কোর মারাকেশ শহর ও এর আশপাশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল শক্তিশালী এক ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৮। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু উত্তর আফ্রিকার দেশ মরক্কো নয়, ওই অঞ্চলেই শত বছরের সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্প এটি।

মধ্যরাতের সেই ভূমিকম্পের পরই আতঙ্কিত মানুষজন বাড়িঘর ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। সেই রাত বাইরেই কাটে তাদের। শনিবার রাতও ঘরের বাইরেই কাটাতে হয়েছে অনেককে। এদিকে দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চল হওয়ায় ত্রাণ নিয়ে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় যেতে পারছেন না ত্রাণকর্মীরা। ভূমিকম্পে বিভিন্ন স্থানে পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটেছে। পাহাড়ধসে অনেক সড়ক যান চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। বাড়িঘর ছেড়ে আসা লোকজনের কেউ কেউ খোলা জায়গা, খেলার মাঠ বা সড়কে তাঁবু গেড়ে আশ্রয় নিয়েছেন। রোগীর চাপ সামলাতেও হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতালগুলো। মরক্কোর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে গতকাল বিকালে হতাহত ব্যক্তিদের হালনাগাদ হিসাব দিয়েছে। তাতে দেখা যায়, ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত ২ হাজার ১২ জনের মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছে সরকার। আহত হয়েছেন ২ হাজার ৫৯ জন। তাদের ১ হাজার ৪০৪ জনের অবস্থা গুরুতর। ভূমিকম্পে হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধারে জোরালো তৎপরতা চলছে। উদ্ধারকর্মীরা বলছেন, এখনো জীবিত ব্যক্তিদের উদ্ধারের আশা করছেন তারা। এদিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধারের অভিযান ত্বরান্বিত করতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে নতুন করে উদ্ধারকর্মী পাঠানো হচ্ছে। আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা রেডক্রসের পরিচালক ক্যারোলিন হল্ট এক বিবৃতিতে বলেন, জীবিতদের উদ্ধার এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দুর্গম অঞ্চলগুলোতে উদ্ধার অভিযান জোরদার করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এজন্য ভারী সরঞ্জামেরও প্রয়োজন হবে।